গত ২২শে ডিসেম্বর, তিব্বতের সংসদের স্পিকার খেনপো সোনম তেনফেল বিভিন্ন দলের এমপিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এরপর Tibetan Parliamentary Secretariat এর পক্ষ থেকে জানানো হয় এই সাক্ষাৎকার একেবারেই সফল হয়েছে। এমনকী অল পার্টি ইন্ডিয়ান পার্লিয়ামেন্টারি ফোরাম ফর তিব্বতের পুনরুজ্জীবন নিয়েও নতুন করে কথা উঠতে শুরু করেছে। আর সেই মিটিংয়ের এক সপ্তাহ পরেই চিনের দূতাবাসের পলিটিকাল কাউনসেলর ঝউ ইয়ংসেংয়ের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি গিয়েছে একাধিক ভারতীয় সাংসদের কাছেও।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, আপনারা অল পার্টি ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর তিব্বতে অংশ নিয়েছিলেন। Tibetan Parliament in Exile এর তথাকথিত সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন আপনারা। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি আমরা। পাশাপাশি রাজনীতিবিদ হিসাবে বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গেও দেখা দরকার বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। পাশাপাশি তিব্বতকে যাতে সমর্থন করা থেকে বিরত থাকার জন্য ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে অন্তত ৬জন সাংসদ এই ডিনারে গত সপ্তাহে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে চিনের এমব্যাসির তরফে লেখা সেই চিঠিকে ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। ফোরামের আহ্বায়ক সুজিত কুমার জানিয়েছেন, একজন ভারতীয় এমপিকে চিঠি লেখার কোনও এক্তিয়ার চিনের দূতাবাসের নেই। তবে এব্য়াপারে সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু এটা পরিষ্কার ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়ে কোনও বিদেশি রাষ্ট্র নাক গলাক এটা চায় না সরকার। এক বিজেডি এমপি জানিয়েছেন, এই ধরনের চিঠি দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার চিনের দূতাবাসের নেই।