সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সঙ্গমের পর বিয়েতে অরাজি হলে তা ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ কেরালার হাইকোর্টের। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক আইনজীবীর জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি একটি মামলায় হাইকোর্ট জানিয়েছে, সম্মতি ছাড়া যৌন সংগমে লিপ্ত হলে তবেই সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হবে।
ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে চার বছর এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অপর একজনের সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন সেই আইনজীবী। সেই মামলায় বিচারপতি বেচু কুরিয়ান থমাসের পর্যবেক্ষণ, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দু'জন প্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গী যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারার উল্লেখিত ধর্ষণের আওতায় পড়ে না (ভুল বুঝিয়ে বা জালিয়াতির মাধ্যম ব্যতীত)।
আরও পড়ুন: সহবাসের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিভঙ্গ, আরজি করের চিকিৎসককে গ্রেফতার করল পুলিশ
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি কোনও দু'জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক হয় এবং তাঁদের মধ্যে বিয়ে না হয়, তাহলেও সেটা ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হবে না। তবে সেক্ষেত্রে আইনে স্বীকৃতি সম্মতি প্রদানের বিষয়টি লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সঙ্গমের পরও কেউ যদি বিয়ে করতে অরাজি হন, তাহলেও ধর্ষণের বিষয়টি কার্যকর হবে না। হাইকোর্ট বলেছে, ‘খারাপ উদ্দেশ্য বা জালিয়াতির উদ্দেশ্যে বা সম্মতি না চাওয়া হয়, তাহলেই শুধুমাত্র বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্ক তৈরির বিষয়টি ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।’