এবার খোলা বাজারেই মিলবে করোনাভাইরাস টিকা। কারণ বৃহস্পতিবার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানিযেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
ওই সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ন্যাশনাল ড্রাগস অ্যান্ড ক্নিনিকাল ট্রায়ালস রুলসের আওতায় সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের শর্ত অনুযায়ী, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) এবং ভারত বায়োটেকের তরফে ক্নিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য জমা দিতে হবে। যে ট্রায়াল এখন চলছে। টিকাকরণের পর কী 'বিরূপ' প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে দুই টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাকে।
খোলা বাজারে টিকার দাম কত হতে পারে?
বুধবার সরকারি আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, টিকা সহজলভ্য করতে খোলা বাজারে প্রতিষেধকের দাম বেঁধে রাখার জন্য ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকাল প্রাইজিং অথরিটিকে (এনপিপিএ) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই বলেছে, 'টিকার দাম বেঁধে দিতে এনপিপিএকে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ডোজের দাম বেঁধে রাখা হতে পারে ২৭৫ টাকায়। সঙ্গে বাড়তি সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১৫০ টাকা যোগ করা হতে পারে।'
এমনিতে বেসরকারি ক্ষেত্রে আপাতত ভারত বায়োটেকের টিকা কোভ্যাক্সিনের প্রতিটি ডোজের দাম পড়ছে ১,২০০ টাকা। কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজ ৭৮০ টাকায় বেঁধে রাখা হয়েছে। আপাতত ভারতে দুটি টিকাই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। কোভিশিল্ড প্রদান করা হচ্ছে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের। কোভ্যাক্সিন আবার ১২ থেকে ১৮ বয়সিদের শরীরে প্রয়োগেরও অনুমোদন পেয়েছে। আপাতত ভারতে ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের যে টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে, তাতে কোভ্যাক্সিনই প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদন পাওয়ার জন্য গত ২৫ অক্টোবর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন করেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) অধিকর্তা প্রকাশকুমার সিং। সপ্তাহদুয়েক আগে ভারত বায়োটেকের পূর্ণ সময়ের অধিকর্তা ভি কৃষ্ণা মোহন যাবতীয় তথ্য জমা দেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে খোলা বাজারে বিক্রির জন্য আবেদন চাওয়া হয়।