করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছিল জীবাণুনাশক টানেল, অতিবেগুনি রশ্মি। তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় দ্রুত সেই নির্দেশ জারির নির্দেশ দিয়েছে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ বিষয়টি জনস্বাস্থ্য এবং সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত। বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমাদের মতে, মানুষের দেহে জীবাণুনাশক ছেটানো, ধোঁয়া দেওয়া বা মানবদেহে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষেত্রে একটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দরকার। যখন বাদীপক্ষের (কেন্দ্র) নিজেদেরই মত যে, এরকম (উপায়ের) ব্যবহার সুপারিশযোগ্য নয়।’
গুরসিমরান সিং নারুল নামে একজনের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় সেই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যে আর্জিতে তিনি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ব্যক্তি জীবাণুনাশক টানেল এবং অতিবেগুনি রশ্মির ল্যাম্প ব্যবহার করছেন। অথচ তা মানুষের দেহের পক্ষে ক্ষতিকারক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
গত ১৮ এপ্রিল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানিয়েছিলেন, ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) একটি অ্যাডভাইজারি জারি করেছিলেন। তাতে নির্দিষ্টভাবে রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছিল যে রাসায়নিক টানেল বা অতিবেগুনি রশ্মির প্রযুক্তি সুপারিশযোগ্য নয়। মেহতা আদালতে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র শুধুমাত্র নির্দেশিকা জারি করতে পারে। কিন্তু সেই অ্যাডভাইজারি নিরূপণের দায়িত্ব রাজ্যের। ৯ জুন ডিজিএইচএস আবারও জানিয়েছিল, যে কারোর দেহে রাসায়নিক ছেটানো বন্ধ হওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যে বিষয়টির সঙ্গে নাগরিকদের স্বাস্থ্য জড়িত, তাতে কেন্দ্র আরও বেশি উদ্যোগী হবে বলে আশা করা যায়। দেশ যখন মহামারীর সম্মুখীন, তখন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় যে ক্ষমতা আছে, তা কেন্দ্রকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। আবেদনে জানানো হয়েছিল, ফল এবং সবজিকে স্যানিটাইজ করতে ক্রমশ অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহারের মাত্রা বাড়ছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, খাবার এবং অন্যান্য বিষষে অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে।