স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ। তিনি জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে গিয়ে দাবি করেছিলেন কেদারনাথ মন্দিরের সোনা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান অজেন্দ্র অজয়। শঙ্করাচার্যের মন্তব্যের তীব্র ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।
এএনআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কেদারনাথের সোনা গায়েব প্রসঙ্গে স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দর বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দাবি করেন, স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ তাঁর বক্তব্য়ের স্বপক্ষে প্রমাণ দিন। তিনি বলেন, আমি তাঁকে চ্য়ালেঞ্জ করছি তিনি গোটা বিষয়টি পারলে সামনে আনুন।
তিনি বলেন, কেবলমাত্র বিবৃতি না দিয়ে তিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। এনিয়ে তিনি তদন্তের দাবি জানান। তিনি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন, হাইকোর্টে যেতে পারেন অথবা যদি হাতে প্রমাণ থাকে তবে তিনি পিটিশন দাখিল করতে পারেন।
অজয় জানিয়েছেন, তিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে পারেন, তদন্ত চাইতে পারেন, যদি তাদের বিশ্বাস না করেন তবে সুপ্রিম কোর্টে যেতেপারেন। হাইকোর্টে যেতে পারেন। আবেদন করতে পারেন। প্রমাণ থাকলে তদন্ত চাইতে পারেন।
মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান সাফ জানিয়েছেন, শঙ্করাচার্যের কোনও অধিকার নেই যে তিনি কেদারনাথ ধামের মর্যাদাহানি করবেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ একটা রাজনৈতিক অ্য়াজেন্ডা নিয়ে কাজ করতে চান তবে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি জানিয়ে দেন, যদি বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করেন, কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা তৈরির চেষ্টা করেন তবে সেটা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
কী বলেছিলেন স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ?
তিনি দাবি করেছিলেন কেদারনাথ মন্দির থেকে ২২৮ কেজি সোনা উধাও হয়ে গিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেদারনাথে সোনা কেলেঙ্কারি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উঠছে না কেন?
দিল্লিতে গত ১০ জুলাই একটি কেদারনাথ মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের সিএম পুষ্কর সিং ধামি। সেই প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য বলেন, কেদারনাথের ঠিকানা তো হিমালয়ে। সেটা দিল্লিতে হল কীভাবে? কেন মানুষকে এমন দ্বিধার মধ্যে ফেলছেন?
একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি আগেই জানিয়েছেন রাজনৈতিক কোনও মন্তব্য তিনি করছেন না। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধব ঠাকরে প্রতারিত হয়েছেন। আমি তাঁকে বলেছি তাঁর প্রতি যে বিশ্বাসঘাতক আচরণ করা হয়েছে তাতে আমরা কষ্ট পেয়েছি। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্য়মন্ত্রীর পদে ফের না বসা পর্যন্ত আমাদের যন্ত্রণা কমবে না।