Repo Rate: রেপো রেট কমানোর হ্যাটট্রিক RBI-এর, সঙ্গে ক্যাশ রিজার্ভ রেশিওতেও কাটছাঁট, কীভাবে প্রভাব পড়বে ঋণের EMI-এর ওপর?

শুক্রবার মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) বৈঠকের পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করল। আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা ঘোষণা করেন, এবার ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানো হচ্ছে রেপো রেট। এর আগে রেপো রেট ছিল ৬ শতাংশ। তা থেকে নামিয়ে রেপো রেট এই দফায় করা হল ৫.৫০ শতাংশ। টানা তৃতীয় দফায় রেপো রেট কমানো হল আরবিআই-এর তরফ থেকে। (

রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সঞ্জয় মলহোত্রা বেন, 'ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমরা সর্বপ্রকারে চেষ্টা করছি এই সমৃদ্ধিকে আরও বাড়ানোর জন্য। বিনিয়োগকারীদের জন্য অপার সুযোগ এনে দেয় ভারতীয় অর্থনীতি। এই অর্থনীতিতে একইসঙ্গে শক্তি, স্থিতিশীলতা আর সম্ভাবনা রয়েছে।' (

এদিকে রেপো রেট কমানোর ঘোষণায় ঋণগ্রহীতাদের স্বস্তি দিল আরবিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আজকের ঘোষণার ফলে ঋণ নিলে ইএমআই পরিশোধের ক্ষেত্রে স্বস্তি পেতে পারেন আম জনতা। এর আগের দফায় এপ্রিল মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছিল। আর এবার তা কমানো হয়েছে ৫০ বেসিস পয়েন্ট। এর ফলে নয়া রেপো রেট হতে চলেছে ৫.৫ শতাংশ। এদিকে শুধু রেপো রেট কমানোই নয়, ব্যাঙ্কের ক্যাশ রিসার্ভ রেশিও ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৪ থেকে ৩ শতাংশ করেছে আরবিআই। এর ফলে এবার গৃহঋণ বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার কমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারে। (

সঞ্জয় মালহোত্রা বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলেছে। কোর মুদ্রাস্ফীতিও সহনশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সঞ্জয় মলহোত্রা বলেন, খুচরো মুদ্রাস্ফীতি সাম্প্রতিক মাসগুলিতে প্রত্যাশার চেয়ে আরও দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং এপ্রিল মাসে তা প্রায় ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.১৬ শতাংশে নেমেছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে আরবিআইয়ের মাঝারি মেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ ছিল। এর থেকে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই নীচে। ভারতের অর্থনীতি স্থিতিস্থাপক হয়েছে, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৪ শতাংশে পৌঁছেছে। সঞ্জয় মালহোত্রা বলেন, '২০২৫-২০২৬ সালের জন্য প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৫ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ৬.৫%, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৭%, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬% এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬.৪% হারে বাড়তে পারে জিডিপি।'