চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার নিয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ বহুদিনের। এই নিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর এক রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার হিসেবে মিশেল ব্যাচেলেটের চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৩ মিনিট আগে জেনেভার সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে নাটকীয় ভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের তরফে।
চিলির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মিছেল বদ্ধপরিকর ছিলেন এই রিপোর্ট প্রকাশের বিষয়ে। চিনের চরম আপত্তি সত্ত্বেও তাই নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এদিকে স্বভাবতই এই রিপোর্টকে ভালো চোখে দেখছে না চিন। তাদের তরফে রাষ্ট্রসংঘকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানানো হয়েছে। চিনের অভিযোগ, আমেরিকার সঙ্গে মিলে প্রতারণামূলক এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের তরফে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘চিনা সরকারের সন্ত্রাস দমন এবং উগ্রবাদ দমনের কৌশল প্রয়োগের প্রেক্ষাপটে শিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’ রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্যাতনের যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে - জোরপূর্বক চিকিৎসা, যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার ঘটনা।’ রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, শি জিনপিংয়ের আমলেই উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। ভকেশনাল এডুকেশন এবং ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে আদতে উইঘুরদের নির্যাতন করা হয়।
এদিকে এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত চিনা দূত বলেন, ‘তীব্র ভাষায় এই রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই রিপোর্টে তথ্য অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। চিনের শান্তি এবং উন্নতি বিঘ্নিত করতেই এইরকম তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মিশেল ব্যাচেলেটের এই রিপোর্টে নিরপেক্ষ ভাবে তথ্য পেশ করা উচিত ছিল। রাজনৈতিক চাপে পড়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঠিক হয়নি।’