বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় মুখর এপার বাংলার নানান প্রান্ত। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশের নানান প্রান্তে। কিছু দিন আগে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলে দিল্লিও। এরই মাঝে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক জল্পনা রয়েছে। সম্পর্কের ঝাঁঝের মাঝেই এবার বাংলাদেশ খোঁজ করছে, ভারতের পাশাপাশি আর কোন কোন দেশ থেকে তারা আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে। সেক্ষেত্রে আলু, পেঁয়াজ ভারতের বিকল্প দেশ খোঁজার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে বাংলাদেশ বলে দাবি ‘প্রথম আলো’র রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আলু আর পেঁয়াজের আমদানি বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি বেশ কিছু দেশকে চিহ্নিতও করে ফেলেছে। এই বিষয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে একটি রিপোর্ট পেশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টারিফ কমিশন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রকের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে, তা রাজনৈতিক, তাতে দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না।
উঠছে চিন-পাকিস্তানের নাম!
এদিকে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টারিফ কমিশন বা বিটিটিসি তার রিপোর্টে বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয় ভারত থেকে। এজন্য সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এগুলি আমদানির জন্য বিকল্প দেশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিটিটিসি আলু আমদানির ক্ষেত্রে ও পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি দেশের নাম তুলে ধরছে। আলু আমদানির ক্ষেত্রে তারা চারটি দেশের নাম তুলে ধরেছে। এই চার দেশ হল, জার্মানি, মিশর, চিন ও স্পেন। এছাড়াও পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে বিটিটিএস যে দেশগুলির কথা ভাবছে তা হল, চিন, পাকিস্তান, তুরস্ক। ভারতের সঙ্গে চিন ও পাকিস্তানের সম্পর্কের খাতের দিকে তাকালে, এই দুই পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে বিটিটিএস যে দেশগুলির নাম দিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে একটি কূটনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে সেদেশে আলু আমদানি হচ্ছে শুধু ভারত থেকে। পেঁয়াজ বেশি আমদানি হচ্ছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে। তবে সেদেশে পাকিস্তান, চিন, তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে, তবে পরিমাণে কম।
হাইভোল্টেজ মিটিং বাণিজ্যমন্ত্রকের:-
বিষয়টি নিয়ে, বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ এই দুই পণ্যের আমদানি কারক, উৎপাদক, পাইকারি, ও সেদেশের কৃষি মন্ত্রক সহ বিশিষ্টদের নিয়ে সদ্য বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেছে ইউনুস সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রক। বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিমউদ্দিন বৃহস্পতিবার ওই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বিটিটিসি আলু পেঁয়াজের দাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য বিকল্প উৎসের সন্ধান দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁদের অনুরোধ আমদানিকারকদের প্রতিও রয়েছে। অনুরোধ রয়েছে যাতে তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে মনোযোগী হন।