সদ্য বাংলাদেশের ঢাকা সাক্ষী ছিল শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি ধানমান্ডি ৩২-তে ভাঙচুরের ঘটনার। বাড়ি কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। উত্তাল জনতার ক্ষোভের জেরে এই বাড়ি ভাঙা হয়। এদিকে, সদ্য বাংলাদেশে পর পর মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে, ভাঙচুর হওয়া ধানমান্ডি ৩২ তে শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হাড়গোড়। এমনই দাবি করেছে সেদেশের পুলিশের অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
ঘড়ির কাঁটায় তখন স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা। ধানমান্ডি ৩২তে ধানমান্ডি পুলিশের উপস্থিতিতে এসে পৌঁছয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। শুরু হয় নানান নমুনা-প্রমাণ সংগ্রহের কাজ। এরপরই ধানমন্ডি থানার ওসি আলি আহমেদ মাসুদ জানিয়েছেন,' ৩২ নম্বরে কিছু হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছে, এখন সেগুলো মানুষের না কি অন্য কোনও প্রাণীর, সেটি নিশ্চিত হতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এসে আলামত সংগ্রহ করেছে।' ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ শেষে বেলা ১০ টা নাগাদ সিআইডি টিম চলে যায় বলে খবর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়া ও মসনদ পতনের ৬ মাস পূর্ণ হয়। সেই দিনটিকে উপলক্ষ্য করে বাংলাদেশে ‘বুলডোজার মিছিল’ র ডাক দেওয়া হয়েছিল বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার তরফে। সেই কর্মসূচি থেকেই বাংলাদেশে শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি ও স্মৃতি মিউজিয়ামে তুমুল ভাঙচুর হয়। অগ্নিসংযোগের ছবি উঠে আসে। বাংলাদেশের বহু মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, ওই বাড়িতে থাকা নারকেল গাছের ডাব নিয়েও মানুষের মধ্যে কাড়াকাড়ি দেখা যায়। অনেকেই বাড়ি থেকে কাঠের জিনিস, বই, লোহার জিনিস লুট করে বলে অভিযোগ। এদিকে, এরই মধ্যে বাংলাদেশের বহু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্রশ্ন তোলা হয়, বাড়ির পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনকে ঘিরে। ওই নির্মীয়মাণ ভবনের বেসমেন্টে জল জমা ছিল। প্রশ্ন ওঠে সেখানে আয়নাঘর থাকার সম্ভাবনা কি রয়েছে? পরে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টার দিকে দমকল গিয়ে সেখান থেকে জল নিষ্কাশন করে। বিবিসিকে দেওয়া দমকলের কর্তা মিজানুর রহমান জানান, ওই ভবনটির বেসমেন্টের জল বের করে কোনও ‘আয়নাঘর’ বা তেমন কিছুর অস্তিত্ব পায়নি দমকল। এরপর সোমবারই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের পদক্ষেপের খবর আসে।