বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ, ২০২৫) লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কেলগ কলেজের হল ঘরে বক্তৃতা করবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট সভাঘর 'হাউসফুল' হয়ে গিয়েছে! সংবাদ প্রতিদিন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে অন্তত এমনই তথ্য পেশ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন অনুসারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় কথা শোনার জন্য কেলগ কলেজ তথা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্য প্রবল আগ্রহ দেখা গিয়েছে। আসলে এই কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর ভারতীয় ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলা থেকে যাওয়া পড়ুয়ার সংখ্য়াও নেহাত কমন নয়। ফলত, খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের মধ্য়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ নিয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনা রয়েছে।
কর্তৃপক্ষের নিয়ম অনুসারে, যখনই এই ধরনের কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তখনই দর্শকাসনে পৌঁছানোর জন্য আমন্ত্রণভিত্তিক প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে সেই নিয়মের ব্যতিক্রমও করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বক্তৃতার অনুষ্ঠানটিও তেমনই একটি আয়োজন বলে দাবি করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের তরফে স্থির করা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানের জন্য 'প্রবেশ অবাধ'। কিন্তু, এক্ষেত্রেও দর্শকাসন আগাম 'বুক' করে রাখতে হবে। দাবি করা হচ্ছে, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই সেই প্রক্রিয়া অনুসারে ওই সভাঘর 'হাউসফুল' হয়ে গিয়েছে। তারপরও দর্শকাসন বুক করার আবেদন আসছে। সেই আবেদনকারীরা আপাতত 'ওয়েটিং লিস্ট'-এ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ভাষণ যাতে অনলাইনেও শোনা বা দেখা যায়, সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এর জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে নির্দিষ্ট যে লিঙ্ক তৈরি করে দেওয়া হবে, তাতে ক্লিক করেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় অনুসারে, বিকেল ৫টায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ওই অনুষ্ঠান শুরু হবে। প্রথমেই থাকবে আপ্যায়ন পর্ব। তারপর মূল আলোচনায় ঢোকা হবে। অনুষ্ঠান মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন - কলেজের সভাপতি অধ্যাপক জোনাথন মিচি এবং এই কলেজেরই 'ফেলো' তথা বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোগী লর্ড করণ বিলিমোরিয়া। এছাড়াও, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ওই অনুষ্ঠানের শিরোনাম হল - 'সামাজিক উন্নয়ন - বালিকা, শিশু এবং নারীর ক্ষমতায়ন'। যেখানে মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে বাংলায় নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। কথা হবে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রাজ্য সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবা নিয়ে।