ইন্ডিগোর প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছেন ইস্তানবুল বিমানবন্দরে। ওই যাত্রীদের ইন্ডিগোর বিমানে দিল্লি এবং মুম্বই আসার কথা ছিল। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। সেই অনুসারে, ইন্ডিগোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পরিষেবা সংক্রান্ত কিছু কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে!
এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিমানবন্দরে আটকে থাকা যাত্রীরা। সমাজমাধ্যমে নিজেদের সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ইস্তানবুল বিমানবন্দরে আটকে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়নি। এমনকী, যাত্রীদের ন্যূনতম পরিষেবাটুকুও দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি ইন্ডিয়ো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।
রাত পৌনে তিনটে নাগাদ (ভারতীয় সময় অনুসারে) এমনই এক আটকে পড়া যাত্রী তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে লিখেছেন, 'আমাদের ইন্ডিগোর বিমানে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৫০০ মানুষ এখানে আটকে রয়েছে। রাত ৮টা ১০ মিনিটে এই বিমান ছাড়ার কথা ছিল। এখন বলা হচ্ছে সেই বিমান ছাড়তে দেরি হবে। কিন্তু, কেন দেরি হবে, সেটা স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে না। বলা হচ্ছে, ওই বিমান পরদিন দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ছাড়া হবে! এটা জঘন্য। আপনারা এভাবে আপনাদের যাত্রীদের পরিষেবা দেন? '
পারস্য মেহতা নামে আরও এক যাত্রী লিখেছেন, ‘শুনুন ইন্ডিগো, আপনারা ইস্তানবুল থেকে মুম্বইয়ের পথে ১২ ডিসেম্বর যে বিমান চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেটা একটা ধ্বংসে পরিণত হয়েছে। ওই বিমান এখান থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। পরে বলা হয়, বিমান ছাড়তে কিছুটা দেরি হবে এবং ওই দিনই রাত ১১টায় সেটা উড়ান শুরু করবে। খুব ভালো কথা। আমরা তার জন্য অপেক্ষা করেছি। তারপর হঠাৎই জানানো হয়, ওই বিমান ছাড়বে পরদিন সকাল ১০টায়! কী হচ্ছেটা কী?’
ওই একই যাত্রী আরও জানিয়েছেন, 'বিষয়টা আরও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কারণ, এখানে ইন্ডিগোর কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যিনি এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণ ব্যাখ্য়া করতে পারেন। আমরা এই সংক্রান্ত সমস্ত খবর পেয়েছি টার্কিস এয়ারলাইন্সের কর্মীদের কাছ থেকে! এবং এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও ঘোষণাও করা হয়নি। পুরো জগাখিচুড়ি একটা ব্যাপার তৈরি হয়েছে।...'
'...অথচ, এই লাউঞ্জটা একতটাই ছোট যে এখানে একসঙ্গে এত মানুষের পক্ষে থাকা একেবারেই সম্ভব নয়। এখানে ঠিকমতো বসারও জায়গা নেই। ফলে আমরা অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সত্যিই ইন্ডিগো?'
পারস্য মেহতা তাঁর এই এক্স পোস্টে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষকেও ট্যাগ করেছেন। যার জবাবে ইন্ডিগো বলে, 'মিস্টার মেহতা, আপনার এই অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। শীঘ্রই আমরা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব!'
বিমান পরিষেবা সংস্থার এমন দায়সারা উত্তরে স্বভাবতই যাত্রীদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে বই কমেনি।