মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরতেই সেখানে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্য়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে এমনই দাবি করা হচ্ছে। তার প্রধান কারণ হল, তাঁরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেই অভিবাসন ও ভিসা নীতিতে বড়সড় বদল আনবেন ট্রাম্প। যা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের পক্ষে হয়তো খুব একটা ভালো হবে না।
ভারতীয়দের আশঙ্কা বাড়ার সবথেকে বড় কারণ হল, এইচ-১বি ভিসার ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে। কারণ, অভিবাসন নিয়ে আগাগোড়া কঠোর নীতিতে বিশ্বাসী ট্রাম্প। এই আশঙ্কার মধ্যেই একটি ঘটনা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আশঙ্কা আরও বাড়াল।
আমেরিকায় ঢুকতেই দেওয়া হল না ভারতীয় বাবা-মাকে!
মির্চি নাইন-এর তরফে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দাবি করা হচ্ছে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ফিরতেই আমেরিকায় বসবাসকারী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভারতীয় বাবা-মায়েরা!
বলা হচ্ছে, যে বাবা-মায়েরা ভারত থেকে আমেরিকায় আসছেন, কিন্তু বিমানবন্দরের আধিকারিকদের ফেরার টিকিট দেখাতে পারছেন না, তাঁদের নাকি নিউ জার্সিতে অবস্থিত নিওয়ার্ক বিমানবন্দর দিয়ে মার্কিন মুলুকে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না!
এক ভারতীয় দম্পতির সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সেই অনুসার, ওই ভারতীয় দম্পতি বি-১/বি-২ ভিজিটর ভিসা নিয়ে আমেরিকা পৌঁছেছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, সন্তানের সঙ্গে পাঁচমাস আমেরিকায় থাকবেন।
কিন্তু, নিওয়ার্ক বিমানবন্দরে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, এবার থেকে এভাবে আমেরিকায় ঢুকতে গেলে ফেরার টিকিট থাকা বাধ্যতামূলক। একমাত্র তাহলেই তাঁরা আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন, না হলে নয়। ২০২৫ সালের নয়া নির্দেশিকায় নাকি এমন নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে!
অভিযোগ, ওই ভারতীয় দম্পতি অনেক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁদের আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বদলে তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, উপরোক্ত ঘটনায় ফেরার টিকিট এখন থেকে বাধ্যতামূলক বলে মার্কিন আধিকারিকরা যে দাবি করছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তেমন কোনও ঘোষণা কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়নি। আর সেখানেই গোটা বিষয়টি ভীষণভাবে অস্বচ্ছ হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নানা মহলের তরফে দাবি তোলা হচ্ছে, সত্যিই যদি এমন কোনও নয়া নিয়ম কার্যকর করা হয়, তাহলে অবিলম্বে তা সরকারিভাবে ঘোষণা করা হোক। তা না হলে ভারতীয়দের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ আরও বাড়বে।