মাইসুরুর ইনফোসিস ক্যাম্পাসে লেপার্ড হানা! নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। সংস্থার তরফে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ট্রেনিদের অফ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ একটি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যমে কর্মীদের অবহিত করেছে, এই বলে: ‘প্রিয় ইনফোসিওন, আজ মাইসুরু ডিসি ক্যাম্পাসে একটি বন্য প্রাণী দেখা গেছে। টাস্ক ফোর্সের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।’ জানা যাচ্ছে, গতরাতে রাত ২ টো নাগাদ ওই লেপার্ডকে সিসিটিভি দেখা গিয়েছে মাইসুরুর ইনফোসিস অফিসের ক্যাম্পাসে। মানি কন্ট্রোলে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনফোসিস ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা দলকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আজ (৩১ ডিসেম্বর) অনুগ্রহ করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না।’ বন বিভাগের আধিকারিকরা নিশ্চিত করেছেন যে দুপুর ২টার দিকে সিসিটিভি ফুটেজে একটি লেপার্ড ধরা পড়েছে। কিছুক্ষণ পরেই একটি দল মোতায়েন করা হয়েছিল এবং একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করেছিল, যদিও প্রাণীটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আইবি প্রভু গৌড়া, ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট (বন্যপ্রাণী) মানি কন্ট্রোলকে বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে লেপার্ডকে সিসিটিভিতে দেখা গেছে। আমাদের দল ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং অবিলম্বে একটি চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে।’
কর্মচারীদের পাশাপাশি, মাইসুর ইনফোসিস গ্লোবাল এডুকেশন সেন্টারে নিযুক্ত প্রায় ৪ হাজার কর্মীও এই লেপার্ড দেখা যাওয়ার জেরে প্রভাবিত হয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সমস্ত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম, মূল্যায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘প্রশিক্ষণ একদিনের মধ্যে পুনঃনির্ধারণ করা হবে। অনুগ্রহ করে আপনার হোস্টেলের কক্ষে থাকুন এবং এই সময়টিকে নিজের অধ্যয়নের জন্য ব্যবহার করুন,’ প্রশিক্ষণার্থীদের একটি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ইফোসিসের দফতরে লেপার্ডের হানা নতুন ঘটনা নয়। ২০১১ সালেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেবার হেব্বাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার ইনফোসিস ক্যাম্পাসে এমন কাণ্ড ঘটেছিল। বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্ভবত জঙ্গল থেকে ওই প্রাণিটি চলে এসেছে।