রাতের অন্ধকারে, চোখের নিমেষে বাংলাদেশের ঢাকার ধানমন্ডি ৩২-এ বুধবার শুরু হয়েছিল ভাঙচুর। ঢাকার ধানমন্ডি ৩২-এ মুজিবর রহমানের বাড়ির ভিতর ঢুকে সেখানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে তাণ্ডব দেখা যায় একদল বিক্ষোভকারীর। রাতভোর টুকরো টুকরো করে ভাঙা হয় বাড়ি। এদিকে, সেই বাড়িতে থাকা একটি নারকেল গাছও ভেঙে পড়ে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র খবর বলছে, ধানমন্ডি ৩২ শেখ মুদিবর রহমানের বাড়ির বাগানে থাকা নারকেল গাছটি ভেঙে নিচে নেমে যায়। সেই গাছ থেকে ডাব ছিঁড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় অনেককে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, যাঁরা সেই সময় সেখানে ছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, ডাব নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে যায়। পরে ডাব হাতে অনেকে উল্লাসও করেন। আবার ওই ডাব হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন। এই দৃশ্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় দেখা গিয়েছে বলে খবর।
এদিকে, শুধু যে ডাব সেখান থেকে চলে গিয়েছে, তা নয়। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে আরও এক দৃশ্য দেখা যায়। ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি মিউজিয়ামের উত্তরের দিকে যে ৬ তলা বিল্ডিং রয়েছে, তা ভাঙার সময় তার ভিতর থেকে কেউ নিয়ে গিয়েছেন বই, কেউ স্টিল, টিন, লোহা, কেউবা কাঠ ভেঙে নিয়ে চলে যান। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ‘প্রথম আলো’র খবরে। বাংলাদেশের অপর সংবাদমাধ্যম ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ কেউ একটি কি দুটি বই হাতে নিয়ে বের হন,কেউ বা কার্টুন বোঝাই করে বের হন। অনেকেই দেখা যায়, কাঠের ও স্টিলের কাঠামো উপর থেকে ভেঙে নিচে ফেলতে। গোটা বাড়ি কার্যত এখন ধ্বংসস্তূপ।
এদিকে, বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা এভাবে মুজিবর রহমানের বাড়ি ও স্মৃতি মিউজিয়ামে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় স্বভাবতই বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে থেকে যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা ছাত্ররা ভালোভাবে নিচ্ছে না। এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।’তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল শেখ হাসিনা যেন উসকানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকেন। আমরা আজও আবার চিঠি দিয়েছি, ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে।’ যদিও দিল্লি সাফ জানিয়েছে, তারা শেখ হাসিনাকে কোনও রকমের প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে না।