সদ্য় ভারতের অমৃতসরে ১০৪ জন অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়কে পাঠানো হয়েছে। মার্কিন সেনার বিমান ভারতে এসে তাঁদের পৌঁছে দেয়। এই ঘটনার মাধ্যমেই মার্কিন মুলুক থেকে কার্যত ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, তারা অবৈধ অভিবাসন নিয়ে কতটা কড়া মনোভাব নিচ্ছে। এদিকে, তারই মধ্যে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’র রিপোর্ট-এ দাবি, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় পড়ুয়াদের যখন তখন পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে। রিপোর্টে তাঁদের দাবি, আমেরিকায় উর্দিধারীরাই এই চেকিং চালাচ্ছেন।
কাউকে ‘স্টুডেন্টস আইডি কার্ড’ দেখাতে বলা হচ্ছে, কাউকে ‘ওয়ার্ক অথারাইজেশন ডকুমেন্ট’ দেখাতে বলা হচ্ছে, আর এই সমস্ত ঘটনা বহু ভারতীয় পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে গিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। বহু পড়ুয়ার দাবি, স্থানীয় পুলিশও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অনেকেই বলছেন, তাঁরা ‘অপশনাল প্র্য়াক্টিক্যাল ট্রেনিং’এ রয়েছেন কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। এই ‘অপশনাল প্র্য়াক্টিক্যাল ট্রেনিং’ এর সুবিধা প্রাথমিকভাবে কলেজপরবর্তী সময়ে ১ বছরের জন্য দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে পড়ুয়াকে কাজ করার জন্য ওই সুবিধা দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসের ভিতরে ২০ ঘণ্টা (সপ্তাহে) কাজের জন্য এই সুযোগ তাঁরাই পান, যাঁরা F1ভিসার অন্তর্ভূক্ত। তবে বেশি রোজগারের জন্য এই কাজের সময়কেও বহু পড়ুয়া ছাপিয়ে যান। অনেকেই স্থানীয় দোকানে, গ্যাস স্টেশনে, খাবার জায়গায় কাজ নেন। আর ভারতীয় পড়ুয়ারা বলছেন, এই সমস্ত জায়গাতেই উর্দিধারী অফিসারদের তুমুল চেকিং চলছে।
কারা করছেন এই চেকিং? বহু পড়ুয়া ওই রিপোর্টে জানিয়েছেন, তাঁরা জানেন না কারা এই চেকিং চালাচ্ছেন, তবে তাঁরা কোনও অফিসার বলেই মনে হয়েছে তাঁদের। কেউ বলছেন, পুলিশ, কেউ বলছেনস মার্কিন অভিবাসন দফতরের কোনও উর্দিধারী। তবে সদ্য ১০৪ ভারতীয়কে ভারতে শিকল বেঁধে পাঠানোর পর আমেরিকায় ভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, এই চেকিং নিয়ে তারা ICE ও USBPকে ইমেল করলেও তার জবাব পায়নি। স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ছে বলে রিপোর্টের দাবি।