সম্প্রতি বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ভারতের স্থান নীচের দিকে রয়েছে। যদিও বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই রিপোর্টকে অবৈজ্ঞানিক বলে নস্যাৎ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক।
গত ১৪ অক্টোবর বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের তালিকায় ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপালের মতো দেশও। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই এই প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিল কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রক।
কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বাস্তব পরিস্থিতি বিচার না করে, সঠিক পদ্ধতি না মেনে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। পুরো প্রক্রিয়াটি টেলিফোনের মাধ্যমে ‘ওপিনিয়ন পোল’ নিয়ে করা হয়েছে। যদি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সত্যিই মানা হত, তাহলে যাঁদের উপর সমীক্ষা চালানো হচ্ছে, তাঁদের ওজন ও উচ্চতা মাপার প্রয়োজন ছিল। ওপিনিয়ন পোলের মাধ্যমে উপভোক্তারা সরকারের কাছ থেকে কোনও খাদ্য সুরক্ষা পান কিনা, এমন কোনও প্রশ্নই রাখা হয়নি। এমন একটা পদ্ধতি প্রয়োগ করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে, যার প্রয়োগ ভারতে শুধু নয়, অন্যান্য দেশেও যথেষ্ট সন্দেহজনক।
পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে সরকার সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে, সেই বিষয়টি রিপোর্ট তৈরির সময়ে বিচার করা হয়নি বলেই কেন্দ্রীয় সরকারের মত। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের মতো বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে মাসে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য বণ্টন করছে সরকার। খাদ্যশস্যের পাশাপাশি ১ কেজি করে ডালও প্রতি মাসে বিতরণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য যাঁদের মাইনে ১৫ হাজারের নীচে, তাঁদের জন্য গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মাসিক ভাতার ২৪ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করেছে সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প এই করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ১৩ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় রিপোর্ট প্রকাশের সময়ে সরকারের এই সব উদ্যোগের কথা মাথায় রাখা হয়নি। রিপোর্টে সরকারের আরও অনেক প্রকল্পের কথাও মাথায় রাখা হয়।
এদিকে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল লিখেছেন, 'মোদীজি আপনাকে অভিনন্দন। দেশের দারিদ্রতা, ক্ষুধা, ভারতকে দেশের অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশনে আরও অনেক কিছুর জন্য।' তারপরেই তিনি লিখেন, 'বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের নাম ২০২০-তে ছিল ৯৪। ২০২১-এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০১।' উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্ষুধার ক্রমতালিকায় ভারতের পেছনে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো ১৫ টি দেশ।
পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে সরকার সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে, সেই বিষয়টি রিপোর্ট তৈরির সময়ে বিচার করা হয়নি বলেই কেন্দ্রীয় সরকারের মত। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের মতো বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য বন্টন করছে সরকার। খাদ্য শস্যের পাশাপাশি ১ কেজি করে ডালও প্রতি মাসে বিতরণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের জন্য যাদের মাইনে ১৫ হাজারের নীচে, তাঁদের জন্য গত বছর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত মাসিক ভাতার ২৪ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে জমা করেছে সরকার। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প এই করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ১৩ কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় রিপোর্ট প্রকাশের সময়ে সরকারের এই সব উদ্যোগের কথা মাথায় রাখা হয়নি। রিপোর্টে সরকারের আরও অনেক প্রকল্পের কথাও মাথায় রাখা হয়।
এদিকে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের এই রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি কংগ্রেস। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল লিখেছেন, মোদিজি আপনাকে অভিনন্দন। দেশের দারিদ্রতা, ক্ষুধা, ভারতকে দেশের অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশনে আরও অনেক কিছুর জন্য। তারপরেই তিনি লিখেন, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের নাম ২০২০-তে ছিল ৯৪। ২০২১-এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০১।উল্লেখ্য, বিশ্ব ক্ষুধার ক্রমতালিকায় ভারতের পেছনে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি, আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, কঙ্গো, লাইবেরিয়া, মোজাম্বিক, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো ১৫ টি দেশ।
|#+|