চিন দেশে নাকি সঞ্চিত রয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি সোনা! তেমনই দাবি করেছে সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম। তাদের সেই দাবি সত্যি হলে মানতে হবে, চিনেই বিশ্বের বৃহত্তম সোনার খনি রয়েছে!
দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেন্দ্রীয় চিনের ভূগর্ভে প্রায় ১,০০০ মেট্রিক টন স্বর্ণ আকর সঞ্চিত হয়ে আছে। যা অত্যন্ত উচ্চমানের বলেও দাবি করা হচ্ছে।
চিনের পিংজিয়াং কাউন্টিতে এই বিপুল পরিমাণ সোনা সঞ্চিত রয়েছে বলে দাবি করেছেন হুনান প্রদেশের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, এই পিংজিয়াং কাউন্টি হুনান প্রদেশেরই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে আরও দাবি করা হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ সোনার মূল্য অন্তত ৬০০ বিলিয়ন ইউয়ান। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় - ৬,৯১,৪৭৩ কোটি টাকা!
এই দাবি সত্যি হলে মানতেই হবে, চিনের মাটির গভীরেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণভাণ্ডার। এত দিন আমরা বিশ্বের যে বৃহত্তম স্বর্ণভাণ্ডারের কথা জানতাম, সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার সাউথ ডিপ মাইনে অবস্থিত। সেখানে সঞ্চিত সোনার আনুমানিক পরিমাণ ৯৩০ মেট্রিক টন।
প্রাথমিকভাবে চিনের এই অঞ্চলে ৪০টি এমন টানেলের খোঁজ মিলেছে, যেখানে সোনা সঞ্চিত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই টানেলগুলি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। বলা হচ্ছে, শুধুমাত্র এই অংশেই প্রায় ৩০০ মেট্রিক সোনা সঞ্চিত হয়ে আছে।
অত্যাধুনিক থ্রিডি মডেলিংয়ের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় আরও গভীরে আরও বিপুল পরিমাণ সোনা সঞ্চিত হয়ে রয়েছে। খুব সম্ভবত, সেই স্বর্ণভাণ্ডারের অবস্থান রয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩ কিলোমিটার গভীরতায়।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, চিনের এই দাবি সত্যি হলে সেদেশের স্বর্ণ শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি ঘটাবে। পাশাপাশি, চিনের খনি নির্ভর শিল্প এবং সামগ্রিকভাবে গোটা অর্থনীতিই বিরাট গতি পাবে।
হুনান প্রদেশের জিওলজিক্যাল ব্যুরোর এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা খুঁড়ে যেসমস্ত পাথরের নমুনা বের করেছি, সেসবের মধ্যে সোনার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।' ওই আধিকারিকের আরও দাবি, মোটামুটিভাবে ২,০০০ মিটারের মধ্যে যে স্বর্ণ আকর উত্তোলন করা হচ্ছে, তা থেকে সর্বাধিক ১৩৮ গ্রাম সোনা বের করা যেতে পারে।
ওই ব্যুরোর সহকারী প্রধান লিউ ইয়ংজুন জানিয়েছেন, ওয়াংগু গোল্ড ফিল্ডে যে থ্রিডি জিওলজিক্যাল মডেলিং ব্যবহার করা হয়, সেই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই বিপুল স্বর্ণভাণ্ডারের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়াও, নজরে আসতে পারে, এমন গভীরতার মধ্যে ড্রিল করে সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়ংজুন। তাঁর, আশা আগামী দিনের চিনের এই বিপুল স্বর্ণভাণ্ডার দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে সহযোগী হবে।