প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বড় শহরে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা। এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি বর্তমানে গুরুতর আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আর এমনই সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতীয় বাসিন্দারা ইসলামাবাদ, করাচি, লাহোর এবং অন্যান্য শহরে কোটি-কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। পাকিস্তানের স্থানীয় মিডিয়া সিয়াসাত-এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। আরও পড়ুন: Blast in Pakistan kills 13: অস্ত্র ভাণ্ডারে বিস্ফোরণ, মৃত ১২, 'হামলা নয়', লজ্জায় কান লাল পাক পুলিশের
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানে অসংখ্য আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটছে। পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বর্তমানে মাফিয়া রাজ অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে গিয়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীরা টাকাও হারাচ্ছেন।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত মাসে কয়েক ডজন কাশ্মীরি বিনিয়োগকারীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি মাফিয়া গ্যাং। কিন্তু পাকিস্তান বা গিলগিট-বালতিস্তান এবং পিওকে কর্তৃপক্ষ এই অপরাধের বিন্দুমাত্রও গ্রাহ্য করেনি।
গতকাল, এক পাকিস্তান-ভিত্তিক বিশ্লেষক বলেন, পাকিস্তানি নাগরিকরা নিম্ন উৎপাদনশীলতা, দূর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দুর্বল জনস্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে জর্জরিত।
ডন পত্রিকার একজন বিশ্লেষক, মোশারফ জাইদি বলেন, পাকিস্তানের তিন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংকটের মোকাবিলা করা কার্যত অসম্ভব। মোশারফ জাইদির মতে, এই তিন বড় সমস্যা হল- সময়ের চাকার তুলনায় পাকিস্তানি সমাজের পিছিয়ে যাওয়া, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের কম অংশগ্রহণের হার এবং দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি।
তিনি আরও বলেন, উচ্চপদের রাজনৈতিক নেতারা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা, কোনও অসামরিক কর্মী, উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তা বা ২২ জন সচিবের মধ্যে কেউ-ই এই পরিস্থিতির বিষয়ে চিন্তিত নন।
ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বর্তমানে কার্যত পঙ্গু অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তান। মার্চে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি ৩৫%-এ পৌঁছে গিয়েছিল। মুদ্রার অবমূল্যায়ন, ভর্তুকি বন্ধ এবং উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে জীবনধারণ করাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানবাসীর। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে $১.১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা তহবিল আনতে গিয়েই ভর্তুকি বন্ধ ও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাবে ভারত, পুঞ্চে সেনার উপর হামলার পর কাঁপছে পাকিস্তান'