আমন্ত্রণ পেলে নয়াদিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্রের সব মন্ত্রক এবং দফতরের আধিকারিকদের এমনই নির্দেশ জারি করা হল।
গত ২২ জানুয়ারি কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরে পাঠানো চিঠিতে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যে আধিকারিকরা রাজপথের অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই চিঠির প্রতিলিপি খতিয়ে দেখেছে 'হিন্দুস্তান টাইমস'। চিঠিতে বলা হয়েছে, 'রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবস উপযাপন দেশের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। যা প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি আয়োজিত হয়। এই জাতীয় অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনা করে আশা করা হচ্ছে, যে আধিকারিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।'
পাশাপাশি চিঠিতে পাঠানো হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের বিধি অবলম্বনের জন্য এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে আসন সংখ্যা ৭৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় মাত্র ২৫ শতাংশ মানুষ রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ সামনে থেকে চাক্ষুষ করতে পারবেন। তার ফলে আমন্ত্রিত আধিকারিকের উপস্থিতির বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিজেদের চাকরির কর্তব্য হিসেবে আমন্ত্রিত আধিকারিকদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। বিষয়টি কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক এবং দফতরের আমন্ত্রিত আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, 'আন্ডার সেক্রেটারি' পদমর্যাদার উপরে সকল আধিকারিকদের রাজপথের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ (মঙ্গলবার) দিল্লির রাজপথের অনুষ্ঠানে তাঁদের হাজির থাকতেই হবে।