২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ভারতের বৃহত্তম জাতীয় অনুষ্ঠানে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার রাজপথে মার্চ করতে দেখা যাবে বিদেশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
শনিবার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশ দুই রাষ্ট্রই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে চলেছে।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগ দিতে আসছে ৯৬ জন বাংলাদেশি সেনার বাহিনী। কুচকাওয়াজের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবে বিডি-০৮ রাইফেল, যা আদতে চিনে তৈরি টাইপ ৮১৭.৬২ মিমি অ্যাসল্ট রাইফেলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্করণ। এই তথ্য জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক। প্রতি বছর এই রকম ১০,০০০ রাইফেল উৎপাদন করে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি।
২০১৬ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রথম বিদেশি বাহিনী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল ফরাসি সেনাবাহিনীর ১৩০ জন সদস্যের একটি দল। রাজপথে সে বারের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফাঁসোয়া ওলাঁদ।
গত ৩০ ডিসেম্বর হিন্দুস্তান টাইমস-এর রিপোর্টে প্রকাশিত হয়, কোভিড অতিমারীর কারণে এ বছরের কুচকাওয়াজের সময়সীমা সংক্ষিপ্ত রাখা হচ্ছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ অতিথি ও দর্শক প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকেন, এবার তার এক-চতুর্থাংশ রাজপথের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
প্রচলিত ধারায় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সেনাদল এবার ত্রিভূজাকৃতির বদলে বর্গাকারে বাহিনীকে সাজাবে। এর মূল কারণ, অতিমারীর কারণে কম পরিমাণ সেনা সমাবেশ। এই কারণে প্রতি বারের মতো ১৪৪জনের পরিবর্তে বাহিনীপিছু ৯৬ জন সদস্য কুচকাওয়াজ করবেন। তুলনায় ছোটমাপের কুচকাওয়াজের রুট নির্দিষ্ট হয়েছে লাল কেল্লার বদলে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
এ বছর রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র ২৫,০০০ দর্শক, যা অন্যান্য বার থাকে এক লাখের বেশি। ১৫ বছরের কমবয়েসি শিশুদের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের কুচকাওয়াজও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ও অনাড়ম্বর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লাল কেল্লায় উপস্থিত থেকেছেন কম সংখ্যক ভিআইপি। স্কুলশিশুদের একেবারেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।