প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে বহু প্রতীক্ষিত পদ্ম পুরস্কারের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সাত জন পদ্মবিভূষণ ও দশজনকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১০২ জন কৃতিকে পদ্মশ্রী দিয়েছে মোদী সরকারকে।
পদ্মভূষণের প্রাপকের তালিকায় প্রথম নামটি হল জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাঁর আমলে ভারত-জাপান সম্পর্ক নয়া উচ্চতায় যায়। তাঁর স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার। প্রয়াত গায়ক এসপি বালাসুহ্মমনিয়ম পেয়েছেন মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ। এছাড়াও মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন বিজ্ঞানের জন্য নরিন্দর সিং কাপানি, যিনি ফাইবার অপটিকস নিয়ে কাজ করেছেন। পদ্মবিভূষণ প্রাপক বাকিরা হলেন মনিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা বিশিষ্ট হার্ট স্পেশালিস্ট মোনাপ্পা হেগডে (চিকিৎসা), রাম মন্দির নিয়ে বই লেখা বিবি লাল ( স্থাপত্যবিদ), বালি নিয়ে অনবদ্য শিল্পকর্ম করা সুদর্শন সাহু (শিল্প), ইসলামিক স্কলার মৌলানা ওয়াহিদুল্লা খান (আধ্যাত্মবাদ)।
পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন ২৯জন মহিলা, ১০জন বিদেশি বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত, মরণোত্তর পুরস্কার পেয়েছেন ছয়জন ও একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ।
দশজন পদ্মভূষণ পেয়েছেন। এদের মধ্যে রাজনীতির ক্ষেত্রে পেয়েছেন তরুণ গগৈ, কেশুভাই প্যাটেল, রামবিলাস পাসওয়ান, সুমিত্রা মহাজন, তারলোচন সিং। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন গগৈ, পাসওয়ান ও প্যাটেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আস্থাভাজন প্রাক্তন আমলা নৃপেন্দ্র মিশ্রও পেয়েছেন এই সম্মানীয় পুরস্কার। পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী কেএস চিত্রা।
সব মিলিয়ে ১০২জন পদ্মশ্রী পেয়েছেন। এর মধ্যে বাংলা থেকে আছেন বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে অন্যতম হল বিশিষ্ট সাহিত্যক নারায়ণ দেবনাথ ও টেবিল টেনিস কিংবদন্তী মৌমা দাস।