আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তারপরই ২০২২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হবে গোটা দেশ জুড়ে। ২৬ জানুয়ারির আগে, তাই এই মুহূর্তে তুঙ্গে রয়েছে রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি। দিল্লির এই বিশেষ অনুষ্ঠানে মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আমন্ত্রিত রয়েছেন প্রধান অতিথি রূপে। এছাড়াও দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত থাকবেন ওই অনুষ্ঠানে।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লির রাস্তায় দশটি বিশালাকার স্ক্রল থাকছে। যার একএকটি ৭৫০ মিটারের। রাজধানীর রাজপথে এই স্ক্রোলে দেশরে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীরত্বের গাথা সাজানো থাকবে। এছাড়াও রাজপথে ১০ টি বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানোর বন্দোবস্ত করছে সিপিডাব্লিউডি। এই প্রথমবার সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ চলবে। যা নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুত তুঙ্গে রেখেছে সিপিডাব্লিউডি। এদিকে, দেশের প্রতিরক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে বেশ কয়েকটি তাক লাগানো স্ক্রল তুলে ধরা হবে। সেখানে পটুয়া, পটচিত্র, তালপাতা চিত্র, মধুবনী শিল্পকে তুলে ধরা হবে। এরজন্য ওড়িশা ও ছত্তিশগড় থেকে ৫০০ জন শিল্পী সেই স্ক্রলগুলিতে নিরন্তর কাজ করছেন।
এদিকে, রাজধানীর বুকে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততার মধ্যে, অতিথি অভ্যাগতদের বসার ব্যবস্থা নিয়ে নজরদারি করছে সিপিডাব্লিউডি। যার জন্যই ১০ টি বড় এলইডি স্ক্রিনের বন্দোবস্তের ভাবনা রয়েছে তাদের। এক সিপিডাব্লিউডি আধিকারিক জানিয়েছেন, 'প্যারেডের জন্য এভিনিউতে প্রধান কাজ শেষ এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে দেখাশোনা চলছে। এবার, জনসাধারণের জন্য রাষ্ট্রপতির মঞ্চের কাছে চারটি সহ ১০ টি বিশাল এলইডি স্ক্রিন। প্যারেডের লাইভ ভিজ্যুয়াল সম্প্রচার করা হবে।' তবে আপাতত পার্কিং স্পেসের দিকে কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। যাতে চার হাজার গাড়ি পার্কিং সাইটে থাকতে পারে, তার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলছে কাজ। এই কাজ খুব শিগগিরিই শেষ হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। দিল্লির এক ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'অ্যামেনিটি ব্লক এবং আন্ডারপাস নির্মাণের কারণে অনুষ্ঠানস্থলে পার্কিংয়ের জায়গা কিছুটা কমে গেছে। আমাদের জওহর ভবন (রাইসিনা রোডে) এবং বাণিজ্য ভবনে (আকবর রোডে) বিকল্প পার্কিং সাইট দেওয়া হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো আমাদের এই স্থানে পার্কিং সাইট দেওয়া হয়েছে। ' তবে পুলিশের মতে , চার হাজারের জায়গায় প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে পার্কিং স্পেসে প্রয়োজন ৭ হাজার গাড়ি রাখার মতো জায়গা।