বর্ষা দাস। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ত্রিপুরার মহেশখালাতে তার বাড়ি। বাড়িতে নিত্য অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করতে নেমে ক্লান্ত সে। বাড়িতে পড়াশোনা করার মতো পরিকাঠামোও নেই। বাবা উত্তম দাস অফিস বয় হিসাবে কাজ করেন। তাঁর পক্ষে খাবারের সংস্থান করার পর মেয়ের জন্য পড়ার টেবিল কেনা সম্ভব নয়। অগত্যা পড়ার টেবিলের জন্য় ফেসবুকেই ভিডিও মেসেজ করেছিল সে। কিন্তু সেই বার্তার তেমন কোনও উত্তর পায়নি সে। এদিকে এসবের মধ্যেই তার মায়ের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। গোটা পরিবারের উপর কার্যত আকাশ ভেঙে পড়ে।
কিন্তু প্রাথমিকভাবে ওই ফেসবুক বার্তার কোনও সাড়া সে পায়নি। এরপর ফের ফেসবুকে ভিডিও মেসেজ করে সে। সেখানে সে মায়ের জন্য খাবার ও ওষুধ প্রার্থনা করে। সেই ফেসবুক বার্তার কথা গোচরে আসে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের। এরপর দ্রুত ওই ছাত্রীর বাড়িতে সহায়তা পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই একেবারে খাবার, ওষুধ, স্টাডি টেবিল নিয়ে বর্ষার বাড়িতে উপস্থিত হন সরকারি আধিকারিকরা। গোটা ঘটনায় আপ্লুত বর্ষার পরিবার।
বর্ষা বলে,'আমার বাবার বেতন খুব কম। সব সময় বাড়িতে টাকাপয়সার সমস্যা।চারজনের সংসারে একটি মাত্র ঘর। চিফ মিনিস্টারের স্যারের কাছ থেকে স্টাডি টেবিল পেয়ে খুব খুশি আমি। করোনা আক্রান্ত মায়ের জন্য ওষুধ ও খাবারও মিলেছে।'
ছাত্রীর বাবা উত্তম দাস, ‘মেয়ের ভিডিও ম্যাসেজের কথা জানতাম না। প্রথমে তো মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই সহায়তা পেয়ে হতবাক হয়ে যাই।’ মুখ্যমন্ত্রী ওএসডি সঞ্জয় মিশ্র বলেন, ‘এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ার মারফৎ জেনে মুখ্যমন্ত্রী নানা বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও কেউ মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেন।’