জাভা সমুদ্রে চিহ্নিত করা হল ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে মানুষের দেহাংশ। তা থেকেই উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, বিমানের যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী দলের প্রধান বাগুস পুরুহিতো সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘দুটি জায়গায় সিগন্যাল মিলেছে। ওটা ব্ল্যাক বক্স হতে পারে।’
বিমানের গতিবিধিতে নজরদারি চালানো ওয়েবসাইট FlightRadar24-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ২ টো ৩৬ মিনিটে (স্থানীয় সময়) জাকার্তা থেকে এসজে১৮২ বিমানটি উড়েছিল। সেটির গন্তব্য ছিল ওয়েস্ট কালিম্যানতান প্রদেশের পন্টিনায়াক। চার মিনিটের মধ্যেই তা ১০,৯০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যায়। তারপর আচমকাই নীচে নামতে শুরু করে। ২১ সেকেন্ড পরে বিমানের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে আর বিমানের হদিশ মেলেনি।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ জন বিমানকর্মী-সহ উড়ানে ছিলেন মোট ৬২ জন। ছিল ১০ শিশু। সব যাত্রীই ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। তারইমধ্যে চলছে উদ্ধারকাজ। গতরাতে উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখার পর রবিবার সকাল থেকেই জাকার্তা উপকূলের একটি নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে আবারও অভিশপ্ত বিমানের খোঁজ শুরু করা হয়েছে। নামানো হয়েছে ডুবুরি দল। ইন্দোনেশিয়ার বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, কোথায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে, তা নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর আধিকারিক ওয়েউদ্দিন আরিফ আইনিউজে জানিয়েছেন, এক মিটার লম্বা বিমানের কাঠামো উদ্ধার করা হয়েছে। যা ওই বোয়িং ৭৩৭-৫০০ উড়ানের ধ্বংসাবশেষ বলে অনুমান করা হচ্ছে। চাকার একাংশ, মানবদেহের বিভিন্ন অংশও উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিহ্নিতের জন্য দেহাংশগুলি পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বায়ুসেনার এক আধিকারিক জানান, বিমানের ধ্বংসাবশেষ দ্রুত উদ্ধার করা যাবে বলে আশাবাদী আমরা।