দীক্ষা ভরদ্বাজ
কেন্দ্রীয় সরকার ৮০৮৯ জন আধিকারিককে পদোন্নতি দিতে চলেছে৷ এই পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ মানা হবে বলে জানা গিয়েছে। তফশিলি জাতি এবং তফশিলি জনজাতিভুক্ত কর্মচারীদের সংরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতি হবে এই দফায়। জানা গিয়েছে ১৭৩৪ জন আধিকারিকের পদোন্নতি হবে সংরক্ষণের ভিত্তিতে। তাছাড়া ৫,০৩২টি পদোন্নতি হয়েছে অসংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের। ৭২৭ জন এসসি এবং ২০৭ জন এসটি কর্মী পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পেয়েছেন। ৩৮৯টি পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনও তথ্য দেয়নি কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতর।
একগুচ্ছ মামলার প্রেক্ষিতে গত ছয় বছর ধরে অধস্তন সচিব স্তর পর্যন্ত আধিকারিকদের পদোন্নতি আটকে ছিল। তবে ২০২০ সালে মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া-না দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত। কোন যুক্তিতে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কর্মীদের সংরক্ষণের প্রেক্ষিতে পদোন্নতি দেবে, তা স্থির করার দায় পুরোপুরি সংশ্লিষ্ট সরকারের। তাদের সেই যুক্তি ব্যাখ্যা করতে বাধ্য থাকবে না সংশ্লিষ্ট সরকার।
এর আগে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত রদ করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। সেখানে কেন্দ্রের তরফে একটি হলফনামা জারি করে বলা হয়, ‘সরকারি চাকরিতে তফসিলি জাতি ও জনপজাতি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ প্রথা রদ করে দিলে কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা ও ক্ষোভ তৈরি হবে। তাছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতি জারি রাখতে সংবিধান এবং আদালতের বেঁধে দেওয়া নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হচ্ছে।’ অবশ্য পদোন্নতির ক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিষয়ে শীর্ষ আধালত হস্তক্ষেপ করবে না বলে আগে জানিয়েছিল।
এই আবহে ছয় বছরে প্রথমবার সংরক্ষণের প্রেক্ষিতে পদোন্নতি করতে এপ্রিল মাসে এসসি এবং এসটির তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে কেন্দ্র। এই মর্মে গত ১২ এপ্রিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় কেন্দ্রের তরফে। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য সরকারি চাকরিতে যথাক্রমে ১৫ শতাংশ এবং সাড়ে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে এবং একসাথে দেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরও বেশি এরা। এই আবহে সংরক্ষণের ভিত্তিতে পদোন্নতি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্র।