ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে। ভূপেন্দ্র যাদবকে সরিয়ে সংসদের পাবলিক গ্রিভ্যান্স, ল' অ্য়ান্ড জাস্টিস প্যানেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্য়মন্ত্রী সুশীল মোদীকে। দুই বিরোধী নেতা কংগ্রেসের অভিষেক সিংভি ও তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েনকে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক দফতরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এদিকে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, এই প্রথমবার অন্তত ২৮জন রাজ্যসভার সদস্যকে তাঁদের হাজিরা কম থাকার জেরে নির্দিষ্ট প্যানেল থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২৪টি বিভাগের স্ট্যান্ডিং কমিটির জন্য অন্তত ৫০জনের ঠাঁই হয়েছে নতুন কমিটিতে। রাজ্য সভার এক আধিকারিকের মতে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে যে ২৮জনের হাজিরা কম রয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে ১২জন গত ১ বছরের একটি মিটিংয়ে হাজির ছিলেন না কোভিড পরিস্থিতি সহ অন্য়ান্য নানা কারণে। এবার একঝলক দেখে নেওয়া যাক উল্লেখযোগ্য কাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য কমিটিতে?
সূত্রের খবর, ছায়াদেবী ভার্মাকে কৃষি বিষয়ক কমিটি থেকে সরিয়ে সামাজিক ন্যায় বিষয়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। আরজেডির প্রফেসর মনোজ কুমার ঝাকে রেলওয়ে থেকে সরিয়ে শ্রম দফতরে সরানো হয়েছে। কংগ্রেস নেতা শক্তি সিং গোয়েলকে আইটি বিষয়ক কমিটি থেকে সরিয়ে পরিবহণ বিষয়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। তৃণমূলের মৌসম বেনজির নুরকে জলসম্পদ বিষয়ক দফতরে রাখা হয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেরি কমকে নগর উন্নয়ন বিষয়ক বিভাগে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক প্যানেলে রয়েছেন ইন্দুবালা গোস্বামী।
শিবসেনা থেকে আসা তিনজন রাজ্য সভার সদস্য়েরই দফতর বদল হয়েছে। সঞ্জয় রাউত যাচ্ছেন বিদেশ দফতরে, অনিল দেশাই যাচ্ছেন বাণিজ্য বিষয়ক দফতরে। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী যাচছন পরিবহণ ও পর্যটন বিষয়ক প্য়ানেলে। তবে তাঁদের গতবার হাজিরা ভালো ছিল। সূত্রের খবর, বিজেপির ৯জন, তৃণমূলের ৬জন,কংগ্রেসের ৪জন,শিবসেনার ৩জন, CPM, RJD,YSRCP, DMK, BJP, TRS এর একাংশকে অন্য প্যানেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।