খারাপ কাজ করার জেরে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট থেকে বাদ পড়তে পারেন অনেক মন্ত্রী। বুধবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির কাজের খতিয়ান পর্যালোচনা করার উদ্দেশে বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মোদী। সেই পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের পরই ফের একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জানা যাচ্ছে, ভালো কাজ করার জেরে বাদ পড়তে পারেন বেশ কয়েকজন পরিচিত নাম। এদিকে মন্ত্রিসভায় যোগ হতে পারে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ।
সূত্রের খবর, ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুখ বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এভারের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারে মোট মন্ত্রীর সংখ্যা ৬০। সংবিধান অনুযায়ী তা ৭৯ হতে পারে। তবে অনেক মন্ত্রীর কাছেই একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্ব রয়েছে। এই আবহে আরও বেশিজনকে ক্যাবিনেটে এনে দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে। এখন মোদীর ক্যাবিনেটে ২১ জন মন্ত্রী রয়েছেন। তাছাড়া ৯ জন স্বতন্ত্র দায়িত্ব প্রাপ্ত রাজ্যমন্ত্রী এবং ২৯ জন রাজ্যমন্ত্রী আছেন। সকল মন্ত্রী এবং তাদের মন্ত্রকের রিভিউ চলছে বর্তমানে।
এদিকে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতো নেতাদের স্থান দেওয়া হবে প্রবল গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী এবং বৈজন্ত পাণ্ডাও। এছাড়াও এবার মোদীর মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে জেডিইউ-র মুখও।
এদিকে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রটেছে। রাজ্য সভাপতি পদে তাঁর মাত্র দেড় বছর মেয়াদ আছে। এদিকে বাকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকারকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হতে পারে বলে চর্চা শুরু হয়েছে। কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রমাণিকের নাম নিয়েও চর্চা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে নিজেদের জমি শক্ত রাখতে তাঁকে সাংসদ করার ভাবনা দেখা দিতে পারে। তেমনি দাপুটে সাংসদ হিসাবেই পরিচিত ব্যারাকপুরের অর্জুন সিং, বিষ্ণুপুরের সৌমিত্র খাঁ ও হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও জোর চর্চা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই 3 জন লড়াকু সাংসদের মধ্যে ১ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, একুশে ফেল করার পর ২০২৪-এর রূপরেখা তৈরি শুরু করেছে বিজেপি। তাই বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে বাংলার মানুষের মনজয় করতে চাইতে পারেন মোদী-শাহরা।