জল ছেড়েছে ডিভিসি। এদিকে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাগামী সমস্ত ট্রাককে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বাংলায়। সীমান্তে কড়াকড়ি। এর জেরে ট্রাকের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। তবে এবার পালটা দিলেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।
‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি…তিনদিন ঝাড়খণ্ডের বর্ডার বন্ধ থাকবে।’ বলেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, ডিভিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করব….। এদিকে বৃহস্পতিবারের মমতার ঘোষণার পর থেকেই ঝাড়খণ্ড সীমান্তে একের পর এক ট্রাক আটকে পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাকে জিনিসপত্র আসছিল সেটা তো বাংলায় আসছিল। সেক্ষেত্রে এই ট্রাক না আসতে দিলে তো বাংলার বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকবে। তার দায় কে নেবে?
তবে বাংলা থেকে গাড়িগুলি ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। সেই গাড়িগুলি এবার আটকানোর কাজ শুরু করে দিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। ঝাড়খণ্ডের ভেতর যাওয়ার পরে সেই গাড়িগুলি আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিধায়ক তথা কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্সবাদী কো অর্ডিনেশন কমিটির নেতা অরূপ চট্টোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। সেই সঙ্গেই পথ অবরোধও চলতে থাকে।
মনে করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলাগামী গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে এটা জানতে পেরেই এবার পালটা ঝাড়খণ্ডের সাধারণ বাসিন্দারা বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী যাত্রীবাহী গাড়ি আটকানো শুরু করে দিলেন। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।
বাংলার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ওই ট্রাক আসছিল বাংলায়। এবার সেই ট্রাকে থাকা পণ্য পচে যেতে পারে। এর জেরে ঝাড়খণ্ডের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলার ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়বেন। তার দায় কে নেবে?
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কুলটি থানার আওতায় থাকা চৌরঙ্গী চৌকি এলাকায় পুলিশ ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে আসা সমস্ত ট্রাক আটকে দেয়। চেকিংয়ের পরে বহু ট্রাককে ফের ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠানো হয়। ঝাড়খণ্ড সীমান্তে বিরাট ট্রাফিক জ্যাম শুরু হয়ে যায়।
আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। এর জেরে বাংলাগামী যে ট্রাকগুলি ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলার দিকে আসছিল সেগুলি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ডিভিসির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে উল্লেখ করেছিলেন মমতা। তারপরই বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে একের পর এক ট্রাককে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে অপরিকল্পিতভাবে ৫ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত জলের তলায় চলে গিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের বিরোধী দলনেতা অমর কুমার বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র আপত্তি করেছেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড মেনে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এর জেরে বাংলার কিছু এলাকায় পরিস্থিতি বিগড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। জিটি রোডে বাংলার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের এলাকার পর আর গাড়ি যেতে দিচ্ছে না। এর জেরে রাস্তায় গাড়ির সারি। হেমন্তজী আপনি সাহস নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। রাজনীতির জন্য ঝাড়খণ্ডের অর্থনীতিকে হাইজ্যাক করতে দেবেন না মমতা সরকারকে।