একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন। অনেক রেস্তোরাঁয় বসে খেলে খাবারের যা দাম, জোমাটো বা সুইগি-তে, সেই একই খাবারের দাম বেশি। ধরুন বিরিয়ানি। রেস্তোরাঁয় বসে খেলে ৩০০ টাকা। এদিকে অ্যাপে হোম ডেলিভারি নিতে গেলে সেটারই দাম ৩৩০ টাকা। এমনটা কেন?
Jefferies-এর এক সাম্প্রতিক সমীক্ষার বিষয়ই ছিল এটি। আর তাতে উঠে এসেছে লক্ষ্যণীয় তথ্য। রেস্তোরাঁ মালিকরা জানিয়েছেন, অ্যাপকে দেওয়া কমিশন এবং প্রচারের কারণে খরচ বেড়ে যায়। আর সেই কারণেই বেশিরভাগ রেস্তোরাঁ অনলাইনে গড়ে ১০% বেশি দাম নেয়।
অর্ধেকেরও বেশি রেস্তোরাঁ প্যাকিং চার্জ ধার্য করে। সেটাই বিলের ৪-৫%। আবার জোমাটোতে সার্চ অপটিমাইজেশন করা, অ্যাড দেওয়ার জন্যও খরচ হয় রেস্তোরাঁগুলির।
সমীক্ষা অনুযায়ী, এতদিন বিনিয়োগের টাকায় ব্যবসা বাড়িয়েছে জোমাটো-সুইগি। পুরোটাই চলছে লোকসানে। তবে এভাবে তো সারাজীবন চলবে না। ধীরে ধীরে মুনাফা করা শুরু করতেই হবে। আর সেই কারণেই রেস্তোরাঁগুলির উপর রেট, কমিশন বাড়িয়ে দিয়েছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি।
এদিকে রেস্তোরাঁগুলিও তাদের লভ্যাংশ ছাড়তে নারাজ। সেই কারণে তারাও অনলাইনে খাবারের দাম বেশি নিচ্ছে।
আটটি শহরের ৮০টি রেস্তোরাঁর মেনু পরীক্ষা করা হয়। অনলাইন এবং অফলাইন দামের তুলনা করে দেখা হয়। ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ২,৮০০ টাকা- সব রেঞ্জের খাবারেরই দাম যাচাই করা হয়। দেখা যায়, প্রায় ৮০% রেস্তোরাঁই অনলাইন অর্ডারের ক্ষেত্রে বেশি দাম নিচ্ছে। অর্ধেকের বেশি রেস্তোরাঁই ১০% বেশি দাম নেয়। অন্যদিকে ২০% রেস্তোরাঁ অনলাইনে খাবারের দাম ৩০% বাড়িয়ে রাখে।
আবার কিছু রেস্তোরাঁ দাম না বাড়িয়ে পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। যেমন ধরুন, দোকানে গিয়ে খেলে স্পেশাল বিরিয়ানিতে ২ পিস মাটন পাবেন। আবার জোমাটো বা সুইগিতে, একই দামে কিনে খেলে, তাতে মাত্র ১ পিস মাটন। অর্থাত্ এভাবেই লাভ বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে রেস্তোরাঁগুলি।