মে মাসে সামান্য কমল ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি। এক বছর আগের একই মাসের তুলনায় এ বছর কমে ৭.০৪%-এ খুচরো মূল্যস্ফীতি। তার আগের মাসেই এটি ছিল ৭.৮%। এপ্রিলের মূল্যস্ফীতি গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।
এই নিয়ে টানা পাঁচ মাস ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ৬%-এর ঊর্ধ্ব সীমা লঙ্ঘন করে চলেছে পরিসংখ্যান। পেট্রল ও ডিজেলের কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক হ্রাসের কারণে এপ্রিলের তুলনায় এই হার কিছুটা কমেছে।
এপ্রিলের ৮.৩১% বৃদ্ধির তুলনায় মে মাসে খাদ্য ও পানীয়ের মূল্যবৃদ্ধি কমে ৭.৯৭% হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় মূল্যবৃদ্ধি আগের মাসের ৮.৩৮%-এর তুলনায় ৭.০১%-এ নেমে এসেছে। শহরে মুদ্রাস্ফীতি ৭.০৮%-এ নেমে এসেছে।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে জ্বালানি থেকে শুরু করে খাবার- সবকিছুরই দাম বেড়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জ্বালানি শুল্ক কমানো এবং খাদ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মতো সরবরাহ-ভিত্তিক ব্যবস্থায় তাত্ক্ষণিক সুরাহা হয় না। দামের ওপর প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগে।
গত সপ্তাহে, আরবিআই রেপো রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৪.৯% করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী জুন ত্রৈমাসিক ও সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধি যথাক্রমে ৭.৫% ও ৭.৪% হতে পারে।