হুহু করে বাড়ছে খাদ্যের দাম। এর জেরে নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল বলে জানাল সরকার। অন্যদিকে লাগাতার তৃতীয় মাসে সংকুচিত হল শিল্পোত্পাদন। অর্থনীতি যে অতলে, এই দুই তথ্য থেকেই এটি সাফ হয়ে গেল।
শিল্পোত্পাদন অক্টোবরে ৩.৮ শতাংশ নেতিবাতক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৫৪ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে সেই কারণেই সুদের হার কমায়নি রিজার্ভ ব্যাংক। তাদের যে আশংকা অমূলক ছিল না, বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান তার প্রমাণ। মূলত সবজি, ডাল ও মাংসের দাম বাড়ায় ৪০ মাসের শীর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার। অক্টোবরে হার ছিল ৪.৬২ শতাংশ। গত বছর নভেম্বরে হারের মান ছিল ২.৩৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে ডিসেম্বরে ৬ শতাংশ ছুঁতে পারে মুদ্রাস্ফীতির হার।
অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং, মাইনিং ও ইলেকট্রিসিটি সেক্টরে উত্পাদন কমেছে। এর ফলে অক্টোবারে নেতিবাচক শিল্পোত্পাদনের হার। এর আগে সেপ্টেম্বরে ৪.৩ শতাংশ ও অগস্টে ১.৪ শতাংশ হারে কমেছিল শিল্পোত্পাদনের হার।আইআইপি গত বছর অক্টোবরে ৮.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। নির্মলা সীতারামন যদিও বলেছেন যে মন্দার পরিস্থতিতে যাবে না ভারতীয় অর্থনীতি, এই পরিসংখ্যান আদপেও আশাপ্রদ নয়। বৃদ্ধির হার কমছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সেখানে অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি করাই এখন সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হারে বৃদ্ধি পেয়েছে জিডিপি। যেভাবে এই ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান আসছে, জিডিপি বৃদ্ধির হার আগের চেয়ে বাড়বে, এমন আশা কেউই করছেন না।