জনপ্রতিনিধিদের পদ থেকে বরখাস্ত করার যে ক্ষমতা বিধানসভা ও লোকসভার স্পিকারদের আছে, সেটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য সংসদকে আর্জি জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত এদিন বলে যে স্পিকার নিজেও কোনও দলের অংশ, এটা ভুললে চলবে না।
মঙ্গলবার মণিপুরে এক কংগ্রেস বিধায়কের এন বিরেন সিং সরকারে যোগ দেওয়ার বিষয় মামলার শুনানির সময় এই মন্তব্য করে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে সংসদ কোনও স্বাধীন ব্যবস্থা রূপায়ণ করার কথা ভাবতে পারে যারা দলত্যাগ আইন সংক্রান্ত পিটিশনের ফয়সালা করতে পারবে।
রোহিংটন নরিমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মণিপুর বিধানসভার স্পিকারকে কংগ্রেস নেতার ডিসকোয়ালিফিকেশনের আবেদনের সিদ্ধান্ত চার সপ্তাহের মধ্যে নেওয়ার নির্দশ দিয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যো স্পিকার ব্যবস্থা না নিলে আবেদনকারীদের আবার কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারেন।
২০১৭ সালে নির্বাচনের পর সর্ববৃহত্ দল হয় কংগ্রেেস। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় ২৮টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২১ আসন নিয়ে সরকার গঠন করে বিজপি। অন্যান্য ছোটো দলের সঙ্গে কংগ্রেসের বিধায়ক শ্যামকুমারের সমর্খন পায় বিজেপি। মন্ত্রীও হন তিনি। দলত্যাগ বিরোধী আইনের মোতাবেক শ্যামকুমারের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য ১৩ বার পিটিশন দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু কিছু করেননি স্পিকার।
এরপর মণিপুুর হাই কোর্টে যায় কংগ্রেস। পরে মামলা যায় শীর্ষ আদালতে। এই বিষয়ে এবার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল আদালত। একই সঙ্গে সংসদকে স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতেও বলল সুপ্রিম কোর্ট।