বৈষ্ণবী সিনহা
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের হোর্ডিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে আরও দুটি দেহ বের করার পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৬ মে ঘাটকোপারে শেষ পর্যন্ত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও তাঁর স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘাটকোপারের একটি পেট্রোল পাম্পের বিশাল হোর্ডিং ভেঙে পড়ার সময় অবসরপ্রাপ্ত এটিসি ম্যানেজার মনোজ চানসোরিয়া (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা (৫৯) তাঁদের গাড়িতে ছিলেন। মুম্বইয়ে প্রবল ধুলোঝড়ের মধ্যে পেট্রোল পাম্পের উপর পড়ে যাওয়া বেআইনি হোর্ডিংয়ের নীচে যে ৯০ জন আটকে পড়েছিলেন তার মধ্যে এই দম্পতিও ছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মুম্বইয়ের এটিসি গেস্ট হাউস থেকে গাড়িতে করে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকে মনোজ ও অনিতা কোথায় ছিলেন, তা জানা যায়নি।
ঘাটকোপারে যেদিন হোর্ডিং ভেঙে পড়ে, সেদিন মনোজের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ঘটনাস্থল শনাক্ত করা হয়। এই দম্পতি তাদের গাড়িতে তেল ভরার জন্য ছেদা নগর পেট্রোল পাম্পে থেমেছিলেন। পরে তাদের গাড়িটি ধ্বংসস্তূপের নীচে শনাক্ত করা হয় এবং এনডিআরএফ দম্পতিকে উদ্ধারের জন্য সেই ধ্বংসস্তুপ সরানোর চেষ্টা করে।
এনডিআরএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই রাতেই হোর্ডিং-এর পাঁচটি গার্ডারের মাঝের প্রধান গার্ডারের নীচে একটি গাড়ির ভিতরে দুটি দেহ আটকে রয়েছে। ত্রাণ দল হামাগুড়ি দিয়ে গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলেও গার্ডার না সরিয়ে ওই দম্পতির কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল গার্ডারটি কেটে ফেলার জন্য গ্যাস কাটার এবং অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে গাড়িটি চূর্ণ করে। এর আগে বিএমসি জানিয়েছিল, পেট্রোল পাম্পে মজুত সামগ্রীর অত্যন্ত দাহ্য প্রকৃতির কারণে উদ্ধারকারী দলটি ধ্বংসস্তূপ কাটতে পারছে না। এদিকে ঘাটকোপার বিলবোর্ডের মালিক ভবেশ ভিন্দের খোঁজে তল্লাশি শুরু মুম্বই পুলিশ মনোজের
এদিকে ওই দম্পতির শেষ মোবাইল লোকেশন ছেদা নগর পেট্রোল পাম্পে জানতে পেরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সেখানে আটকে পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল।মঙ্গলবার
মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ধূলিঝড়ের কারণে শহরের কিছু অংশে অবৈধ হোর্ডিং ভেঙে পড়ে। নাগরিক সংস্থা জানিয়েছে যে এই হোর্ডিং ভেঙে পড়ার পিছনে কারণ ছিল স্তম্ভটির দুর্বল ভিত্তি যেখানে এটি ঝুলছিল।
(পিটিআই থেকে ইনপুট সহ)