মানুষ যখন চাকরি জীবন শেষ করে তখন আধ্যাত্মিক পথে হাঁটে বা বিশ্রাম নেয়। কিন্তু চাকরি জীবন শেষ করে নতুন উচ্চাকাঙ্খার স্বপ্নের উজান তুলে তাতে হাঁটা সত্যিই বিরল। এমনই ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়। যেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী ৬৪ বছর বয়সে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। এমনকী বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পর্যন্ত হয়েছেন। তাও নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে।
এই মেধাবী ছাত্রের নাম জয় কিশোর প্রধান। তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যানেজার। ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন সার্থক করতে এভাবেই পথ হাঁটলেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম এই পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আমি পাশ করতে পারিনি। তখন বয়স অল্প ছিল। তারপর বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর চাকরিতে যোগ দিই। কিন্তু মনে ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তাই অবসর নেওয়ার পর ২০১৬ সাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছি।’
এই স্বপ্ন পূর্ণ করতে গিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা পর্যন্ত করতে হয়েছিল। কারণ নিট পরীক্ষার বয়স সর্বোচ্চ ২৫ বছর। যদিও সেই মামলা বিচারাধীন। তাই নিট আর একটি সুযোগ দিয়েছিল জয় কিশোর প্রধানকে। তাতেই আসে সাফল্য। বীর সুরেন্দ্র সাই ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল কলেজের অধিকর্তা অধ্যাপক ললিত মেহের বলেন, ‘তিনি সবথেকে বয়স্ক ছাত্র। এটা একটি বিরল দৃষ্টান্ত চিকিৎসা ইতিহাসে। এই বয়সে তিনি একটি উদাহরণ তৈরি করলেন।’