করোনাযুদ্ধে সসম্মানে জয়লাভ করলেন আগ্রার ৯৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জি সি গুপ্তা। বয়স্ক নাগরিকদের সামনে তাঁকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরল প্রশাসন।
১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে গত ১০ জুন ন্যায়তি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাজ মহলের শহরের নবতিপর বাসিন্দা। শ্বাসকষ্ট ও কিডনির সমস্যা নিয়ে তিনি গত ২৯ মে সেখানে ভরতি হয়েছিলেন।
হাসপাতালের আধিকারিকদের দাবি, অসামান্য মনোবল সম্বল করেই করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন বৃদ্ধ। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন একবারও নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি গুপ্তা, বরং কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারের সদস্যদের জন্যই তিনি চিন্তিত ছিলেন, জানিয়েছেন এক হাসপাতাল কর্মী। তাঁর অটুট মনোবলই চিকিৎসকদের কাজে অনেক সাহায্য করেছে বলে তিনি জানান।
গুপ্তার ছেলে অরুণ কুমার জানিয়েছেন, তাঁর বাবার বরাবরই সাংঘাতিক মনের জোর। উত্তর প্রদেশ সরকারের সেচ দফতর থেকে ১৯৭৩ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। তিনি জীবনে কখনও মদ স্পর্শ করেননি এবং আজীবন নিরামিষাশী। এ ছাড়া প্রতিদিন তাঁর ধ্যানের অভ্যাস রয়েছে।
নিয়ম করে রোজ ভোর ৩.৩০ মিনিটে ঘুম ভাঙে অতিবৃদ্ধের। গভীর ধ্যানের পরে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। অবসর বিনোদনের জন্য পছন্দ করেন টিভি দেখতে। সাধারণ ওষুধপত্রের মধ্যে রক্তচাপ, পেচ্ছাপের সমস্যার জন্য রোজ কিছু ওষুধ খেতেই হয়। আর খেতে হয় মাল্টি ভিটামিন। দুনিয়ার নিত্যনতুন ঘটনা সম্পর্কে সর্বদা নিজেকে ওয়াকিবহাল রাখতেও পছন্দ করেন গুপ্তাজি।
আগ্রায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার অতিক্রম করেছে গত বুধবার। ৫৬ জন সংক্রমণে মারা গেলেও শহরে সেরে ওঠা রোগীর হার ৫৪%।