আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারবে বলে গত ২৭ জুলাই রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল হয়েছিল। সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার এজলাসে রিভিউ আবেদনটি উত্থাপিত করা হয়েছিল। তিনি বিষয়টিকে তালিকাভুক্ত করতে সম্মত হয়েছেন। (আরও পড়ুন: দেশের ৮০ কোটি মানুষের জন্য বড় খবর! ফ্রি রেশন নিয়ে নয়া সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র)
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় গ্রেফতারি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো কঠোর পদক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতা রয়েছে ইডির। বিচারপতি এএম খানউইলকরেরর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিল। এর আগে আর্জিতে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানের ২০ ধারা এবং ২১ ধারার যে অধিকার স্বীকৃত আছে, তা লঙ্ঘিত হয়েছে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে। পাশাপাশি মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, যে কোনও অপরাধকে আর্থিক তছরুপে পরিণত করে নেওয়া হচ্ছে।
সেই প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গ্রেফতারি, তল্লাশি অভিযান, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার মতো পদক্ষেপের জন্য ইডির হাতে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা সাংবিধানিকভাবে বৈধ। কোনও রকম স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে না। সেইসঙ্গে আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় জামিন মঞ্জুরের ক্ষেত্রে কঠোর শর্তও বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। এই আবহে বিচারপতি এএম খানউইলকরেরর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল হল প্রধান বিচারপতির এজলাসে।
বিরোধীরা বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে যে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে শাসকদল বিজেপি। তথ্য বলছে, গত আটবছরে এই তদন্তকারী সংস্থা মোট ৩০১০টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে মোট ৯৯,৩৫৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ইউপিএ জমানা থেকে মোদী জমানায় ইডির তল্লাশি অভিযানের সংখ্যা ২৭ গুণ। হিসেব অনুযায়ী, আজও পর্যন্ত প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে ৫৪২২টি মামলা রুজু করেছে ইডি। এদিকে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে ২৪ হাজার ৮৯৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।