দেশে হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে অ্যাসিমটোটিক অধিকাংশই। এর অর্থ হল এদের শরীরে আছে করোনাভাইরাস, কিন্তু সেটির তেমন লক্ষণ নেই।এরকম ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজোন নেই, বাড়িতেই চিকিত্সা করলে চলবে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ গাইডলাইনস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। সেটি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে বাড়িতে থেকে চিকিত্সা করলেও পরিস্থিতি আচমকা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
যারা করোনা পজিটিভ, কিন্তু শরীরে করোনার কোনও চিহ্ন নেই, বা খুব অল্প আছে, তারাই বাড়িতে চিকিত্সা করাতে পারবেন। বাড়িতে সেল্ফ আইসোলেট করার জায়গা থাকতে হবে। বাড়ির লোকদেরও থাকতে হবে। একজন ২৪ ঘণ্টার দেখভাল করার লোক থাকতে হবে, যিনি হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন।
সেই দেখভাল করছেন যিনি ও যারা করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসছেন, সবাইকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনিন খেতে হবে। একটি সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম সাইন করতে হবে। আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে হবে।
বুকে ব্যথা, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হলে, ইন্দ্রিয় অবশ লাগলে, মুখ- ঠোঁট নীল হয়ে গেলে তখনই ডাক্তারকে জানাতে হবে।
যবে থেকে করোনার চিহ্ন ধরা পড়েছে বা যেদিন করোনা পরীক্ষা হয়েছিল, তার ১৭ দিন অবধি হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। টানা দশ দিন জ্বর না এলে, তারপর আরও সাত দিন দেখে হোম আইসোলেশন শেষ করা যেতে পারে। এরপর আর করোনা পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই।
রোগীদের জন্য পরামর্শ-
তিন লেয়ার মাস্ক পরতে হবে যা আট ঘণ্টা পর পর ছেড়ে ফেলতে হবে।
সোডিয়াম হাইপো ক্লোরাইট দিয়ে ধুয়ে ফেলার পরেই মাস্ক বাতিল করা উচিত।
বয়স্ক ও অসুস্থদের থেকে দুরে থাকতে হবে।
বিশ্রাম নিতে হবে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করতে হবে।
মুখে হাত দিয়ে হাঁচুন বা কাশুন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
অন্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করবেন না।
যে সব জায়গা বারবার ধরা হয় (দরজার হ্যান্ডল, টেবিল ইত্যাদি) সেগুলি ধোয়া উচিত।
দেখভালকারীদের জন্য পরামর্শ-
মাস্ক ব্যবহার করুন ত্রিপল লেয়ার্ড।
বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন স্যানিটাইজার দিয়ে।
গ্লাভস ব্যবহার করুন।
রোগীর সংস্পর্শে আসবেন না।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্যাবলি খুঁটিয়ে পড়ুন।