এতদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়ে আসছিল সকাল থেকে। তবে আজ সেই মামলাটি আর সকালে শোনা হবে না বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ২টোয় মামলাটি শুনবে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাশাপাশি থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। (আরও পড়ুন: 'নষ্ট CCTV ফুটেজ, বদল রক্তের নমুনা', আরজি করের সুপ্রিম শুনানির আগে গুরুতর অভিযোগ)
আরও পড়ুন: ফের আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তাররা, সাগর দত্তের পুনরাবৃত্তি ন্যাশনাল মেডিক্যালে
আরও পড়ুন: আরজি কর আবহে SC-তে আরও অস্বস্তিতে শাসকদল, TMC বিধায়ককে উলটো করে ঝোলানোর নিদান!
উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের মামলার পরবর্তী শুনানি। ২৭ সেপ্টেম্বর সেই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে তার বদলে ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার দিন ধার্য করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, শুনানি পিছোতে আগেই আবেদন করেছিল রাজ্য। সেই আবেদনে মতোই পিছিয়েছিল আরজি কর মামলার শুনানি। প্রসঙ্গত, এই মামলায় প্রায় ৪২টি পক্ষের নথিভুক্ত আইনজীবীর সংখ্যা ২০০-র বেশি। এদিকে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের তরফ থেকে বদল করা হয়েছে আইনজীবী। আজ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বদলে এই মামলায় নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে সওয়াল করবেন বৃন্দা গ্রোভার। উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের পক্ষে গত শুনানিতে ইন্দিরা জয়সিং জোরালো সওয়াল করছিলেন। তা দেখেই নাকি নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারের তরফ থেকে বৃন্দা গ্রোভারকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: পুজোর মুখে 'হাসছে না' পাহাড়, মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আবহে দার্জিলিং-কালিম্পঙে বনধ)
আরও পড়ুন: DVC-র করা ৭৮০ কোটির মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে বড় জয় অনিল আম্বানির!
এর আগের দিন আরজি কর কাণ্ডের শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, 'আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত নিয়ে নির্যাতিতার বাবা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তা প্রকৃত। তিনি যে চিঠি দিয়েছেন, সেটা আমরা সামনে আনব না। কারণ সেটা গোপনীয়। আমরা বলতে চাই যে সিবিআইয়ের জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।' এদিকে সিবিআই যে স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে, তা নিয়ে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, 'সিবিআই কী তদন্ত করছে, সেটা যদি আজই সামনে আনা হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়াটা ঘেঁটে যাবে। সত্যের উদঘাটনের জন্য সিবিআই যে পন্থা নিয়েছে, সেটা ঘেঁটে যাবে। টালা থানার তৎকালীন ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখেছি। আমরা যে যে বিষয়গুলির উত্থাপন করেছিলাম, সেটার জবাব দিয়েছে সিবিআই। চালান দেওয়া হয়েছিল কিনা, ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া কীরকম ছিল, তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে কিনা - সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে সিবিআই। সিবিআইকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে আমাদের।'