মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হচ্ছে না। আজ ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি পিছিয়ে গিয়েছে। আগামিকালই সেই মামলার শুনানি হবে। সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে শুনানি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। কী কারণে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এমনিতে আগামী ১০ নভেম্বর অবসরগ্রহণ করবেন ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ফলে সম্ভবত বুধবারই শেষবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলা শুনবেন তিনি।
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে
আর সেই শুনানি এমন একটা সময় হতে চলেছে, যখন নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলার মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারা (ধর্ষণ), ৬৬ ধারা এবং ১০৩ ধারা (খুন) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। আর আগামী ১১ নভেম্বর থেকে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রতিদিন শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে’, দাবি সঞ্জয়ের
তবে সেইসবের মধ্যে সঞ্জয়কে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে আরজি কর মামলার মূল অভিযুক্ত চিৎকার করে বলতে থাকে যে আসল দোষীদের বাঁচানোর জন্য তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাকে ভয় দেখাচ্ছে সরকার। ভয় দেখাচ্ছে 'ডিপার্টমেন্ট'। আদালতের সামনেও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সঞ্জয়। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ যে তথ্য দিয়েছে, তাতে সঞ্জয় নিজেকে অপরাধী বলে স্বীকার করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: Sandip Ghosh: 'লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ, একথাও যদি বলি…' আদালতে বললেন আইনজীবী
তৃণমূল কী বলল?
আর সেই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এনামুল হক, জীবনকৃষ্ণ সাহা থেকে মানিক ভট্টাচার্য; প্রত্যেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। সেগুলোও বিশ্বাস করেছিলেন তো কমরেড?'
সেইসঙ্গে তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান বলেন, 'ধনঞ্জয়ও তো একসময় চিৎকার করে বলতো আমায় ফাঁসানো হচ্ছে, আমায় বাঁচান.., তখন আপনাদের সরকার এবং আপনারা ঠিক কোনদিকে ছিলেন মনে পড়ে? আজ একটা নির্মম হত্যাকারী, বর্বর ধর্ষকের উপর দরদ এত উথলে উঠছে হঠাৎ?’