সুপ্রিম কোর্টে আজ, সোমবার আরজি কর হাসপাতাল মামলার শুনানি হয়ে গিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় যা যা নির্দেশ দেওয়ার তা দিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এখন আর নতুন করে কিছু হবে না। কারণ পরবর্তী শুনানি ১৪ অক্টোবর। তখন দুর্গাপুজো মিটে যাবে। উৎসবের আমেজ থাকলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে মানুষ। আজ সোমবারের শুনানি শেষে সেই কথাই জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে সেদিন সিবিআইকে আবার পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ১২ অক্টোবর বিজয়া দশমী। তার ঠিক দু’দিন পরে ১৪ অক্টোবর, সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ–খুনের মামলার শুনানি। আজ, সোমবারের শুনানিতেও স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিবিআই। নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লাগার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সেটা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, ‘ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?’ কারা তদন্তের অধীনে রয়েছেন সেই নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী জানান, পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই যুক্ত করা হয়েছে। কোন পাঁচজনকে যুক্ত করা হয়েছে সেই নামের তালিকাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আশ্বস্ত করা হয়, সিবিআই নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলায় গড়ে উঠবে সুপার ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যাট, মন্ত্রিসভার বড় সিদ্ধান্ত জানালেন অরূপ
অন্যদিকে আজকের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন। আর জানান, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক।’ নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে রিপোর্টে আছে। ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল? উত্তরে সলিসিটর জেনারেল জানান, চশমা না খুলে ঘুমোনোর জন্য এই আঘাত লেগেছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, কেউ যতই প্রভাবশালী হোন, সিবিআই তাঁদের নামের তালিকা দিলে পদক্ষেপ করা হবে।
এছাড়া আগামী ৩১ অক্টোবর তারিখের মধ্যে হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানো এবং সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ‘এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নয়। আমাদের কাছে চারজনের নাম রয়েছে। যাঁরা ঘটনার দিন ক্রাইম সিনে ছিলেন। দু’জনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি।’ হাসপাতালের ৭ জনকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানান আইনজীবী।