আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় আজ, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে শুরু হয়েছে সওয়াল–জবাব। এখানেই মুখোমুখি হয়েছেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও কপিল সিব্বল। এখানেই এক আইনজীবী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি করেন। আর তাতেই তেতে ওঠে এজলাস। এমনকী ওই আইনজীবীকে ধমক খেতে হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।
এদিকে আজকের সওয়াল–জবাবের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন কপিল সিব্বল। মুখ্যমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টার কথাও তুলেছেন কপিল সিব্বল। এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মুখবন্ধ খামে দ্বিতীয়বার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তখনই এক আইনজীবী গোটা ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করা উচিত বলে সওয়াল করেন। এমন আবহে এরকম একটা কথা শুনে বেজায় চটে যান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আর ধমক দিয়ে বলেন, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। বিচারের পদ্ধতি মেনে চলুন। আমরা চিকিৎসকদের চিন্তার বিষয়গুলি দেখছি। আপনি যদি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের নির্দেশ দিতে হবে, সেটা হতে পারে না। এটা আমাদের কাজ নয়।’
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি–সিকিমের পথে নামল ভয়ঙ্কর ধস, মূল লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিচ্ছিন্ন
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ইন্দিরা জয়সিং সওয়ালে বলেন, ‘১৫১৪ সিভিক ভলান্টিয়ারকে সরিয়ে রাজ্য পুলিশকে নিয়োগ করার আর্জি রইল। জুনিয়র ডাক্তাররা আতঙ্কিত।’ জনৈক এক আইনজীবী আজ সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন, ‘গোটা ঘটনার দায় নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’ তখন তাঁকে ধমক দেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তিনি এজলাসে নিয়মকানুন বজায় রাখতে বলেন। আর বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কথায়, ‘এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি আপনি তুলতে পারেন না। এটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। আমরা কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারি না।’
এছাড়া সিবিআই তদন্ত নিয়েও সওয়াল জবাব চলে সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বললেন, ‘যেভাবে তদন্ত হয়েছে তাতে নির্যাতিতার বাবা–মায়ের উদ্বেগ যুক্তিসঙ্গত। এমনিতেই পাঁচদিন দেরি হওয়ায় সিবিআই কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। আমরা নির্যাতিতার বাবার চিঠি প্রকাশ্যে আনব না। তাতে অনেক তদন্ত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। তবে সিবিআই তদন্ত করছে। ওরা তো ঘুমোচ্ছে না। সত্য সামনে আনতে পর্যান্ত সময় দিতে হবে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু প্রকাশ্যে আনা যাবে না। রিপোর্ট সামনে এলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’