আজ, বুধবার সকালে আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডের শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সময়টা পিছিয়ে গেল। এখন এই মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল দুপুর ৩টে নাগাদ। মঙ্গলবার মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় নির্দেশনামায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বুধবার শুনানির তালিকায় সবচেয়ে প্রথমেই এই মামলা শুনবে আদালত। তাই সকাল থেকেই সর্বোচ্চ আদালতের দিকে নজর ছিল সকলের। তবে বেলা গড়াতেই সামনে এল, এই মামলার শুনানি হবে সকালের বদলে বিকেলে। এই নিয়ে পর পর দু’বার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হল। যা নিয়ে রাজধানীর বুকে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে যে তিন বিচারপতির বেঞ্চে তাঁরা সকলেই উপস্থিত হয়েছেন বলে খবর। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়াও বেঞ্চে আছেন বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। তবে আদালত সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর ৩টের সময় আরজি কর মামলার শুনানি হবে। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে রাজ্য সরকারের হলফনামা আজ দেওয়ার কথা। হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য কী কী কাজ করেছে সেটাও আজ বুধবার আদালতে জানানোর কথা রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন: বিধাননগর পুরসভার বোর্ড মিটিং তপ্ত হয়ে উঠল, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন সব্যসাচী
অন্যদিকে মঙ্গলবার হলফনামা আকারে সিভিক ভলান্টিয়ার সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ তা নিয়ে সওয়াল–জবাব হওয়ার কথা। কিন্তু সময় পিছিয়ে যাওয়ায় অনেকেই এখন হতাশ। কারণ সময় পিছিয়ে যাওয়ায় শুনানি খুব বেশিক্ষণ ধরে চলবে না বলেই তাঁরা মনে করেন। আইনজীবীরা প্রস্তুত রয়েছেন জোরাল সওয়াল করার জন্য। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা যখন ৩টের ঘরে পৌঁছবে তখনই এই মামলার শুনানি শুরু হবে। মঙ্গলবার দিনের শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। সেটা হয়নি। তাই শুক্রবার ওই রিপোর্ট দিতে পারে তারা বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতিদের। তাই মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের আগেই মামলার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। আর বুধবার পিছিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মামলার শুনানি। তবে তা সকালে হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে গেল বিকেলে। আর আগামী ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেবেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাই এই মামলা তার আগেই শেষ হোক চান সবপক্ষ। এখন দেখার কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় জল।