ভারতের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে বিদেশে চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এবার সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার কথা ভাবছে সরকার। এই আবহে কি ফের ভারতের ঘরোয়া বাজারে চালের দাম বাড়বে? এই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এরই মাঝে আবার সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ফুড কর্পোরেশনের কাছে থাকা গম বাজারে বিক্রি করবে কেন্দ্র। প্রতি কুইন্টাল গম সর্বনিম্ন ২৩২৫ টাকায় বিক্রি করবে সরকার। বর্তমানে বাজারে প্রতি কুইন্টাল গমের রেট ২৪০০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। তার থেকে সস্তায় গম বিক্রি করতে চলেছে সরকার। এদিকে এফসিআই ডিপো-তে থাকা চালও বিক্রি করবে সরকার। সেই ক্ষেত্রে প্রতি কুইন্টাল চালের দাম ন্যূনতম ২৮০০ টাকা করে। এই আবহে চালের রফতানি শুরু হলেও তা ঘরোয়া বাজারে ততটা চাপ সৃষ্টি করবে না বলে আশা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে শুধরোচ্ছে মেট্রো, মসৃণ পরিষেবার জন্যে একের পর এক পদক্ষেপ)
আরও পড়ুন: গত ৩ বছরের থেকে বেশি বিনিয়োগ ২৪-এর প্রথম ২ মাসে, বাংলায় কাজ পাবেন ক'জন?
আরও পড়ুন: শুধু বকেয়া ডিএ-তে সন্তোষ নয়, সরকারের ওপর সাঁড়াশি চাপ বাড়ালেন সরকারি কর্মীরা
এদিকে অক্টোবরে বাজারে নতুন ফসল আসার কথা। এর আগে কিছু জাতের চাল রফতানির উপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে পারে ভারত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সরকারি আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, নির্দিষ্ট শুল্ক দিয়ে সাদা চালের চালানের অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এছাড়া সিদ্ধ চাল রফতানির ওপর ২০ শতাংশ কর প্রত্যাহার ও ফিক্সড লেভি আরোপ করতে পারে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০২৩ সালে চাল রফতানি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখন যদি ভারত চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করে, তাহলে এশিয়া ও বিশ্ব বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ফলে ভারতের ঘরোয়া বাজারেও চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: হবে বড় ঘোষণা, ডিএ-র দাবি না মানলেও নয়া ছকে কর্মীদের মন খুশি করার ছক সরকারের)
আরও পড়ুন: ডিএ-বেতনের দাবিতে অনড় সরকারি কর্মীরা, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সাজানো হল 'চক্রব্যূহ'
আরও পড়ুন: বেড়েছে ডিএ, সঙ্গে ১২০ কোটি খরচ করে কয়েক লাখ টাকার 'বোনাস' ঘোষণা এই রাজ্যের
সরকারি তথ্য অনুসারে, ১ এপ্রিল থেকে গত দুই মাসে ভারতের মোট চাল রফতানি এক বছরের আগের তুলনায় ২১ শতাংশ কমে ২.৯ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে। একই সময়ে নন-বাসমতি চালের চালান ৩২ শতাংশ কমে ১.৯৩ মিলিয়ন টন হয়েছে। এই সবের মাঝে এবার চাল রফতানির ওপর জারি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার চিন্তাভাবনা করছে মোদী সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে বর্ষার সময় ধানের বীজ রোপন করছেন ভারতীয় কৃষকরা। সেপ্টেম্বরের শেষ লগ্ন থেকে সেই ধানের ফসল কাটা শুরু হবে। অক্টোবরে সেই ধান বাজারে আসতে শুরু করবে। (আরও পড়ুন: বিক্রি বন্ধের দাবি করলেও দোকানে দিব্যি বিকোচ্ছে পতঞ্জলির ১৪ 'নিষিদ্ধ' পণ্য)
আরও পড়ুন: বাংলায় CBI-এর এক্তিয়ার নিয়ে মামলা আদালতে, প্রথম রাউন্ডে 'জয়' রাজ্যের, কী বলল SC?
আরও পড়ুন: 'NEET প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি', এত কিছুর পর আদালতে দাবি NTA-র, দোহাই ভাইরাল ভিডিয়োর
এই আবহে ভারতীয় ঘরোয়া বাজারে যাতে চালের জোগান প্রয়োজনের থেকে বেশি না হয়ে যায়, তার জন্যেই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮ জুলাই পর্যন্ত ভারতে ৬ মিলিয়ন হেক্টর বা ১৪.৮ মিলিয়ন একর জমিতে ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা ১৯ শতাংশ বেশি। এর আগে জুন মাসে বর্ষার ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। এই আবহে জুলাইয়ের শুরুতে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় ধানের বীজ রোপন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।