অতিমারির জের। বিদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় চাল রফতানির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্রে কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাসমতি চাল ও বাসমতি নয় এমন চালের ক্ষেত্রে এই বিধি প্রযোজ্য হবে। ভারত থেকে ২৭টি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভুক্ত দেশে ও নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশে চাল রফতানি করতে গেলে সরকারি সার্টিফিকেট অফ ইনসপেকশন থাকা জরুরী। তবে এবার রফতানিকারকরা ৬ মাসের জন্য এই ধরণের সার্টিফিকেট ছাড়াই চাল পাঠাতে পারবেন। এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন কাউন্সিল অথবা এক্সপোর্ট ইনস্পেকশন এজেন্সির কাছ থেকে সার্টিফিকেট ছাড়াই তারা চাল রফতানি করতে পারবেন। সেব্যাপারেই কয়েকমাসের ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, ইউক্রেন, ইউনাইটেড কিংডম, ভ্যাটিকান সিটি, জর্জিয়াতে এভাবে চাল রফতানি করার ছাড়পত্র মিলবে।
প্রসঙ্গত Export inspection council (EIC) ভারতের সরকারি এক্সপোর্ট সার্টিফিকেশন বডি। রফতানি করার আগে তা নির্দিষ্ট গুণমানের কিনা, এগুলি নিরাপদ কিনা সেটাই তারা পরীক্ষা করে দেখে। বিভিন্ন ধরনের মাছ, দুগ্ধজাত সামগ্রী, মধু, ডিম, মাংস ও মাংসজাত সামগ্রী রফতানি করার আগে তারা বাধ্যতামূলকভাবে সার্টিফিকেট দেয়। তারপরই সেগুলি রফতানি করা ছাড়পত্র মেলে। আন্তর্জাতিক দুনিয়া এই সার্টিফিকেটকে মান্যতা দেয়। বাসমতি চাল ও অন্য়ান্য চাল রফতানির ক্ষেত্রেও কীটনাশক বর্জিত কিনা সেটা খতিয়ে দেখে এই নিয়ামক সংস্থা। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কিছু চাল এই কীটনাশক থাকার দোহাই দিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ফেরৎ পাঠিয়েছিল। তারপরই এনিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়।