পরীক্ষার হল। কেউ শেষমুহূর্তের জন্য নোট ঝালাই মারছেন। কেউ আবার টেনশনে চুপচাপ বসে আছেন। এমন সময়ে হলে প্রবেশ করলেন এক কনে। পরনে টকটকে লাল লেহেঙ্গা। গা-ভর্তি গয়না। সদ্য করা মেকআপ। ব্যাপার দেখেই ভিরমি খেলেন বাকি পরীক্ষার্থীরা। রুমে প্রবেশের সময়ে থতমত খেলেন ইনভিজিলেটরও।
ঘটনা গুজরাতের রাজকোটের। আসলে অনেক আগেই বিয়ের তারিখ স্থির করা হয়েছিল পাত্রী (এবং পরীক্ষার্থী) শিবাঙ্গী বাগথারিয়ার। কিন্তু কপালের ফের। বিয়ের তারিখেই পরীক্ষার দিন ছিল সৌরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিয়ের জন্য তো আর একটা বছর পড়াশোনা নষ্ট করা যায় না। পরীক্ষা দিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে, ঠিক করেন কনে। সমর্থন করেন তাঁর হবু স্বামী এবং দুই পরিবারও।
কিন্তু পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি এসে সাজতে বসলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই দুপুরেই একেবারে পার্লারে গিয়ে সেজে নেন শিবাঙ্গী। তারপর সোজা পরীক্ষাকেন্দ্রে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর হবু স্বামী এবং পরিবারের কয়েকজনও। পরীক্ষার হলের বাইরে অপেক্ষা করেন তাঁরা। শিবাঙ্গীর পরীক্ষা শেষ হলে সকলে মিলে বিয়ের মণ্ডপের দিকে রওনা দেন।
গোটা বিষয়টায় শিবাঙ্গী, তাঁর পরিবার এবং শিবাঙ্গীর হবু স্বামীর প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। ইচ্ছা থাকলে বিয়ে, সংসারের মাঝেও পড়াশোনা করা যায়, সে কথাই যেন প্রমাণ করলেন নববধূ।