বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ধর্মাচরণের অধিকারের আওতায় পড়ে না হিজাব পরা, তাতে হিতে বিপরীত হবে: সরকার

ধর্মাচরণের অধিকারের আওতায় পড়ে না হিজাব পরা, তাতে হিতে বিপরীত হবে: সরকার

হিজাব পরে বোর্ড পরীক্ষা পাটনায়। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

কর্নাটক সরকারের বক্তব্য, হিজাবকে যদি জরুরি ধর্মাচরণ বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে যাঁরা পরবেন না, তাঁদের ধর্মচ্যুত ঘোষণা করা হতে পারে।

ভারতীয় সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে না হিজাব পরার অধিকার। বরং তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার আওতাভুক্ত। এমনই দাবি করলেন কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং নবদাগি। তাঁর দাবি, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার আওতায় যদি সেই বিষয়টি বিবেচনা করা হয়, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

কর্নাটকের উদুপির প্রি-ইউনিভার্সিটির পড়ুয়াদের দায়ের করা মামলার অষ্টম দিনের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল দাবি করেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে যদি হিজাব পরার বিষয়টিকে একটি জরুরি ধর্মীয় আচার বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাহলে সব মুসলিম মহিলা তা পরতে বাধ্য হবেন। যাঁরা হিজাব পরতে চান না, তাঁদেরও পরতে হবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে তিনি সওয়াল করেন, ‘এটা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্বাধীনতায় আঘাত করে। আমরা যেটা চাই, সেটা পরা এবং আমরা যেটা চাই না, সেটা না পরার (পছন্দের অধিকার আছে সকলের)। প্রত্যেক ধর্মের প্রত্যেক মহিলার সেই ব্যক্তিগত পছন্দের অধিকার আছে। বিচারবিভাগীয় ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ধর্মীয় নিয়মে অনুমোদন দেওয়া যায় না।’

সম্প্রতি হিজাব পরিহিত কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে কর্নাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে সেরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চলতি মাসে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। একাধিক কলেজে গেরুয়া স্কার্ফ ও পাগড়ি পরা পড়ুয়াদের সঙ্গে হিজাব পরা পড়ুয়াদের রীতিমতো সংঘাত তৈরি হয়। হিজাব পরা নিয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা হয় একাধিক মামলা। ক্লাসে হিজাব পরার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মামলা দায়ের করে উদুপির প্রি-ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা সওয়াল করেন, সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারায় হিজাব পরার অধিকার স্বীকৃত আছে।

যদিও কর্নাটক সরকারের দাবি, হিজাব পরার অধিকার সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারার (ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ধর্মাচরণের অধিকার আছে সেই ধারায়) আওতায় পড়ে না। বরং তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারার (বাকস্বাধীনতার অধিকার) আওতাভুক্ত। অর্থাৎ কেউ যদি হিজাব পরতে না চান, তিনি না পরেই থাকতে পারেন। তাঁর সেই স্বাধীনতা আছে। কর্নাটকের অ্যাডভোকেট জেনারেল সওয়াল করেন, হিজাবকে যদি জরুরি ধর্মাচরণ বলে ঘোষণা করা হয়, তাহলে যাঁরা পরবেন না, তাঁদের ধর্মচ্যুত ঘোষণা করা হতে পারে। হাইকোর্টের একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পছন্দের অধিকারের বিষয়টি এক্ষেত্রে আসছে না। কারণ স্কুল এবং কলেজের ইউনিফর্মের বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে।

বন্ধ করুন