হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এবার হালাল মাংস নিয়ে তুমুল অশান্তি। আর তা নিয়ে বেঙ্গালুরুর শিবামোগা পুলিশ অন্তত ৫জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি মুরগির দোকানে গিয়েছিলেন পাঁচজন। হালাল নয় এমন মাংস দিতে বলেছিলেন তারা। এদিকে সেই ধরণের মাংস দিতে চায়নি মাংসের দোকানের মালিক। শিবামোগার পুলিশ সুপার বিএম লক্ষ্মী প্রসাদ জানিয়েছেন, মাংস না পেয়ে তারা দোকান বন্ধ করে দেয়। এমনকী তারা দোকানের একটি ছেলেকে মারধরও করে বলেও অভিযোগ।
এদিকে ওল্ড টাউন থানা এলাকাতেও দক্ষিণপন্থী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য জনতা হোটেলে যান। এদিকে দোকানের মালিককে তারা জানায় হালাল মাংস যেন বিক্রি করা না হয়। এনিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের ঝামেলা বেধে যায়। সেখানেও এক ব্যক্তিকে তারা মারধর করে বলে অভিযোগ।
এদিকে কর্ণাটক জুড়ে যখন হিজাব নিয়ে এত বিতর্ক তার মধ্যেই এবার হালাল মাংস নিয়ে নয়া বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণপন্থী একাধিক সংগঠনের সদস্যরা এবার হালাল মাংস বিক্রি বন্ধ করার জন্য দাবি তোলা শুরু করেছে। হিন্দু জনজাগৃতি সমিতিও এনিয়ে দাবি তুলতে শুরু করেছে।
অনেকের মতে, কার্যত এভাবে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে বিজেপি নেতা সিটি রবির দাবি, হালাল মাংস হল মুসলিমদের অর্থনৈতিক জেহাদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি সরকারের অবশ্য এনিয়ে বিশেষ হেলদোল নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এনিয়ে নানা ভিডিয়ো ঘুরছে। কোথাও সাইনবোর্ড থেকে হালাল শব্দটি তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে ‘ঝটকা’ শব্দটি লিখতে। মানে ইলেকট্রিকের শক দিয়ে যেখানে মুরগি মারা হয়।