শুভব্রত মুখার্জি: টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার-১২ পর্যায়ের ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে একেবারে দুরমুশ করে জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৪ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় পেয়েছে প্রোটিয়া বাহিনী। আর এই ম্যাচেই একাধিক নজির গড়েছেন তাদের দুই ব্যাটার কুইন্টন ডি'কক এবং রিলি রসউ। দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে একাধিক নজির সৃষ্টি হল সিডনির ২২ গজে।
ম্যাচের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে আউট হয়ে যান তেম্বা বাভুমা। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকেই ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করেন দুই ব্যাটার ডি'কক এবং রসউ। তাসকিন কয়েকটা পরপর নো বল করেন। কুইন্টন ডি'কক পরপর ছয় হাঁকান। তারপরেই রিলি রসউ তার সঙ্গে যোগ দেন। প্রথম ছয় ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান ওঠে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬৩ রান। ১১ তম ওভারে শাকিবের বোলিংয়ে ২১ রান নেন রিলি রসউ। দুটি ছয় এবং একটি চার হাঁকান তিনি। ৩০ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন রিলি রসউ। তারপরেই অর্ধশতরান পূরণ করেন কুইন্টন ডি'কক। ১৬৮ রানের বিরাট এক পার্টনারশিপ গড়েন তারা যার মধ্যে দিয়েই একাধিক নজির গড়েছেন তারা।
টি-২০ বিশ্বকাপে যে কোনও উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপের নজির গড়েন তিনি। ফলে তারা ভেঙে দেন দীর্ঘদিনের মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কুমার সাঙ্গাকারার গড়া নজির। ২০১০ বিশ্বকাপে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে গড়েছিলেন ১৬৬ রানের জুটি। টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসেও এটি সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। এর আগে এই নজির ছিল হার্সেল গিবস এবং জাস্টিন কেম্পের। তারা জুটিতে গড়েছিলেন ১২০ রান। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে এই নজির গড়েছিলেন গিবস-কেম্প। ডি'কক-রসউ এই জুটিতে ১৪ টি চার এবং ১১ টি ছয় হাঁকান। এদিন ৫২ বলে শতরান করেন রিলি রসউ। শাকিবকে একটি ছয় হাঁকিয়ে শতরানে পৌঁছে যান তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে রিলি রসউয়ের এই শতরান অর্থাৎ ১০৯ রান টি-২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর। আন্তর্জাতিক টি-২০তে পরপর দুই ম্যাচে পূর্ণ সদস্যের দেশের ক্রিকেটার হিসেবে পরপর দুই ম্যাচে শতরান করার নজির ও গড়লেন রিলি রসউ। টি-২০ বিশ্বকাপে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার হিসেবেও শতরান গড়লেন তিনি। ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে করেছিল ২০৫ রান। যা চলতি বিশ্বকাপের ও সর্বোচ্চ স্কোর।