রাজ্যে হিংসার পর যোগী প্রশাসনের অভিযান ঘিরে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তাতে অবশ্য টলেনি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। বরং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতর থেকে দাবি করা হল, যোগীর কড়া ব্যবস্থায় চমকে গিয়েছেন বিক্ষোভকারী।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একাধিক টুইট করা হয়। একটি টুইটে বলা হয়, 'হিংসাকারীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজির কঠোর ব্যবস্থা দেখে প্রত্যেক উন্মত্ত মানুষ ভাবছেন, যোগীজির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে ভুল করে ফেলেছেন।'
প্রতিটি টুইটে 'দ্য গ্রেট সিএম' (মহান মুখ্যমন্ত্রী যোগী) ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। অপর একটি টুইটে বলা হয়, 'প্রত্যেক হিংসাকারী চমকে গিয়েছেন। গন্ডগোল পাকিয়েছেন যাঁরা, তাঁরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন। যোগী সরকারের কড়া ব্যবস্থা দেখে সবাই চুপ। আপনাদের যা ইচ্ছা করুন। কিন্তু, যাঁরা ক্ষতি করেন তাঁদেরই ক্ষতি মিটিয়ে দিতে হবে। এটা যোগীজির ঘোষণা। প্রত্যেক হিংসাত্মক বিক্ষোভকারী কাঁদবে। কারণ উত্তরপ্রদেশে এখন যোগীর সরকার (রয়েছে)।'
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের সময় সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে ইতিমধ্যে ৪৯৮ জনকে সার্কুলার পাঠিয়েছে যোগী প্রশাসন। শীঘ্রই তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। যোগীর নির্দেশে জোরকদমে আপাতত বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার পর্যন্ত সেই প্রক্রিয়া চলবে।
সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ আদায়ের ক্ষেত্রে ২০১০ সালে এলাহাবাদের হাইকোর্টের একটি রায়ের উপর নির্ভর করছে প্রশাসন। বিক্ষোভকারী হিংসাত্মক হয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে তাঁদের থেকেই ক্ষতিপূরণ নেওয়ার একটি গাইডলাইনও দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আজ যোগীর দফতরের তরফে একটি টুইটে বলা হয়েছে, 'যাঁরা ভুলপথে চালিত হয়েছিলেন ও ২০১৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসা ছড়িয়েছিলেন, তাঁদের থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সিদ্ধান্ত উদাহরণস্বরূপ। যা গুন্ডাদের বিরুদ্ধে দেশে এক দুর্দান্ত উদাহরণ হবে। যে কোনও মূল্যে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে।'
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩২০টি মামলা দায়ের হয়েছেয ১,১১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৫,৫৫৮ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
যদিও বিক্ষোভকারীদের উপর 'নিষ্ঠুর' বলপ্রয়োগের জন্য বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী সরকার।মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধানকে নোটিশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাতে অবশ্য দমেনি যোগী প্রশাসন।