পদত্যাগপত্রে বোমা ফাটিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অসম কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ রিপুন বোরা। এহেন রিপুন বোরাকেই এবার অসমে দলের সভাপতি নিযুক্ত করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রিপুনকে রাজ্য সভাপতি করার জন্য চিঠি লেখেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের মাত্র সাতদিনের মাথায় রিপুনকে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হল দলের তরফে।
রিপুনকে ঘাসফুলে আনার নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী তথা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব। ১৯৭৬ সাল থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রিপুন। তবে শতাব্দী প্রাচীন দল ছাড়ার সময় পত্রবোমা ফাটান রিপুন। রিপুন অভিযোগ করেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই না করে অসম কংগ্রেসের একাধিক নেতা বিজেপি সরকারের সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছেন। অসমে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন রিপুন। পাশাপাশি কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। রাজ্যে কংগ্রেসের মতো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রিপুনের এই বহুমুখী অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেস অসমে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চাইছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়ে হেরে যান রিপুন বোরা। খাতায় কলমে বিরোধী জোটের কাছে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত নম্বর থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি রিপুন। উলটে রাজ্যসভার নির্বাচনে জয় পায় ক্ষমতাসীন জোটে বিজেপির শরিক ইউপিপিএল। প্রসঙ্গত, ১২৬ সদস্যের বিধানসভায় মোট ৮২টি ভোট ছিল শাসক জোটের পক্ষে। এদিকে একজন প্রার্থীকে জিততে ন্যূনতম ৪৩টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। এই আবহে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষে দ্বিতীয় আসনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল। দ্বিতীয় আসনটি জেতার ক্ষেত্রে চার ভোটে পিছিয়ে ছিল শাসক জোট। কিন্তু বিরোধী দলে ফাটল ধরায় উভয় আসনেই জয় পায় শাসক জোট। আর এরপর থেকেই অভিযোগ ওঠে, কংগ্রেসের বিধায়করা বিজেপি জোটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এই হার হজম করার পরই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রিপুন।